জ্বিনের পাহাড়ে ব্লাক ম্যাজিক – সত্য ঘটনা

জ্বিনের পাহাড়ে ব্লাক ম্যাজিক –

 

সময়টা ২০০৭ সাল। ৫ বছর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসেছি।

আমি সৌদি আরবে থাকতেই আমার বোনের বিবাহ হয়, সেজন্য ওদের বিবাহে আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। দেশে আসার কিছুদিন পরে বোনের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

বোনকে বিবাহ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। সেদিন বোনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেই, রাত ১১ঃ৩০ এ ওদের বাড়িতে পৌঁছাই।

বাস স্টানে নামার পরে বোনজামাই আমাকে এসে নিয়ে গিয়েছিল। আমার বোনের বাড়ি যেতে একটি পাহাড় বাদে, আমি এবং আমার বোন জামাই রিক্সায় করে যতদূর যাওয়া সম্ভব গিয়েছিলাম।

এরপর আমরা পাহাড়ের ডাল দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, আর আমার বোন জামাই এদিক সেদিকে আমাকে সবকিছু দেখাচ্ছিল।

পাহাড়ের ঢালে একটি মসজিদ দেখলাম। বোন জামাই আমাকে বলল এটি আমাদের মসজিদ। এরপর বাসায় গিয়ে সবার সাথে পরিচয় হয়ে খাওয়া দাওয়া করে, বাসায় এশার নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়লাম।

হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে গেল, আমি ভাবলাম হয়তো ফজরের আযান দিয়ে দিয়েছে।

তাই ঘুম থেকে উঠে ওদের দরজা খুলে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ। তখন আকাশে বড় চাঁদ, আমি মোবাইল ফোন বা লাইট কিছুই নেইনি সাথে।

বোনের বাসা থেকে মসজিদে যেতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লাগে।

হেঁটে হেঁটে মসজিদে চলে গেলাম, ওযু করে মসজিদে ঢুকলাম।

মাশাল্লাহ সম্পূর্ণ মসজিদ ভরা মুসল্লি, এই দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো।

কিন্তু একটা বিষয় আমি নোট করলাম, মসজিদে যত মুসল্লি আছে সকলেই সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত। এবং মসজিদ থেকে এত সুন্দর একটা সুঘ্রান আসছে যা আমি আগে কখনো পাইনি।

জ্বিনের পাহাড়ে ব্লাক ম্যাজিক

মনে হচ্ছে কোন জান্নাতের বাগিচায় এসেছি, আমি মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নত আদায় করে নিলাম।

সুন্নত শেষ করে কিছুক্ষণ বসলাম, বাকিরা কেউ সুন্নত আদায় করছে, কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছে, আবার কেউ তাজবিহ তাহলিল পাঠ করছে।

কিন্তু ইমাম সাহেব সুন্নাত আদায় করে মুসল্লিদের দিকে তাকিয়ে তাজবি পাঠ করছে।

ইমাম সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলেন।

এর কিছুক্ষণ পরে জামাত শুরু হয়ে গেল, জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। খোদার কসম ভাই ইমাম সাহেবের তেলাওয়াত এত সুন্দর এবং এত সুন্দর যা বলে বুঝাতে পারব না।

জামাত শেষে আমি পিছনে তাকিয়ে লক্ষ্য করলাম বাইরে এখনো সূর্যের আলো দেখা যায় না। কিন্তু জামাত শেষ হওয়ার পর তো সকালের আলো কিছুটা বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

যেহেতু আমি মসজিদে আছি তাই কোন বিষয়ে কোন কিছু নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ আমার ভিতরে ছিল না।

মোনাজাত শেষে আমি যখন মসজিদ থেকে বের হতে যাব তখন ইমাম সাহেব আমাকে ডাক দিলেন। আমি পিছনে ফিরে তার কাছে গেলাম।

ইমাম সাহেব আমাকে আমার পরিচয় জিজ্ঞেস করল,

আমি তাকে আমার পরিচয় দিলাম।

ইমাম সাহেব আমাকে বলল, আপনি আরো কিছুক্ষণ মসজিদে থাকেন, চারিদিকে আলো ছড়িয়ে পড়লে মসজিদ থেকে যান। আর যদি কোন সমস্যা হয় ইয়ামিন বলে ৩বার ডাক দিবেন।

এই বলে ইমাম সাহেব ও মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন। কিন্তু আমি ইমাম সাহেবের কথা কোন মর্মই বুঝলাম না তিনি কেন আমাকে পড়ে যেতে বললেন।

আর কোন সমস্যা হলে ইয়ামিন বলে ডাকতে বললেন, তাহলে ইমাম সাহেব কি ধরনের সমস্যার কথা বলেছেন? যেহেতু একজন ইমাম সাহেব আমাকে বলেছে একটু পরে যেতে তাই আমি মসজিদে বসে রইলাম।

অবাক করা কান্ড প্রায় মিনিট বিশেক পড়ে একজন মুরুব্বী মসজিদে আসলেন।

তিনি আমার থেকে আমার পরিচয় নিয়ে মসজিদে আজান দিলেন।

আযানের শেষে তাকে বললাম আরে কাকা মসজিদে জামাত শেষ হয়ে গেছে আর আপনি এখন এসেছেন আযান দিতে? কথাটি শুনে কাকা আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল,

আরে বাবা তুমি এসব কি বলছ? এখন তো আযানের সময় হয়েছে, নামাজ শেষ হলো কখন?

তখন আমি মুরুব্বির সাথে তর্কাতর্কি করিনি, আরে আযানের কিছুক্ষণ পরেই গ্রামের নামাজী ব্যক্তিরা মসজিদে চলে আসলো সেই সাথে চলে আসলো ইমাম সাহেব।

এবং কিছুক্ষণ পরেই মসজিদে আবারো জামাত হলো। আমি দ্বিতীয়বারও জামাতে শরিক হলাম। জামাত শেষ করে মসজিদের ইমাম সাহেবকে সব ঘটনা খুলে বললাম।

সে আমাকে অভয় দিয়ে বলল আপনি জিনদের সাথে নামাজ আদায় করেছেন। ওরা সকলে ভালো জীন, তাই আপনার কোন ক্ষতি করিনি ওরা।

এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম, মনের ভিতর যদিও কিছুটা ভয় কাজ করছিল তবে ভালো লাগছিল এই ভেবে।

জিনদের ইমাম সাহেবের ব্যবহারটা অসাধারণ ছিল, এবং তার কোরআন তেলাওয়াত কতইনা সুমধুর। এরপর আমি বোনের বাসায় চলে যাই,

হাটহাজারী এলাকাটা ঘুরে ঘুরে দেখছি, সবার সাথে পরিচয় হয়েছিল।

ওখানে যাওয়ার তিনদিন পরে জানতে পারি আমার বোন জামাই এর বড় ভাই মাহবুব ভাই দু বছর ধরে অসুস্থ । কোন চিকিৎসা করেই নাকি উন্নতি হচ্ছে না, এমনকি ডাক্তারেরা কোন রোগ ধরতে পারছে না।

মাহবুব ভাইয়ের শরীরে কোন মাংস নেই শুধু হাড়, দেখে মনে হয় জ্যান্ত একটা কঙ্কাল। মাহবুব ভাইয়ের পরিবারের থেকে তার অসুস্থতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ ডিটেলস জেনে নেই।

মাহবুব ভাই ছিল ধনী একজন মানুষ, সে সাগরের মাছের ব্যবসা করত।

চিকিৎসা করতে করতে তার যত সম্পদ ছিল শেষ শেষ করে ফেলেছে।

এখন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে, চিকিৎসা করার মত টাকা ও তার কাছে নেই।

তাদের পরামর্শ দেই মাহবুব ভাইকে কোন বড় হুজুরকে দেখাতে, তারা হাটহাজারী মাদ্রাসার একজন বড় হুজুরকে দেখায়।

এর ভিতরে আমি ঢাকায় চলে আসি, কিন্তু মাঝে মাঝে ফোনে মাহবুব ভাইয়ের খবর নিচ্ছিলাম। হাটহাজারী মাদ্রাসার হুজুর জানায় মাহবুব ভাইকে খুব জঘন্যভাবে ব্ল্যাক ম্যাজিক করা হয়েছে।

কিন্তু হুজুর এই ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে কাজ করেনা, সে টুকটাক জিন ছাড়ায়।

এই ঘটনা শোনার পরে আমার সেই জিন ইমাম সাহেবের কথা মনে পড়ে যায়। সে তো বলেছিল যদি কোন সমস্যা হয় রাতে মসজিদে গিয়ে ইয়ামিন বলে যেন তাকে ডাকি।

আমি রাত তিনটেজারীতে চলে যাই, তখন রাত তিনটে বাজে, পাহাড়ের ঢালে সেই মসজিদে গিয়ে প্রথমে ভালোভাবে অজু করি, এরপর মসজিদে প্রবেশ করি ইয়ামিন ইয়ামিন ইয়ামিন বলে ডাক দেই।

মসজিদের টিনের উপরে একটি ঢিল পড়ার শব্দ পাই শব্দটা অনেক জোরে ছিল। দেখতে পাচ্ছি দূর থেকে হেঁটে আসছে সেই ইমাম সাহেব,

জ্বিনের পাহাড়ে ব্লাক ম্যাজিক

তাকে দেখে ভয় পাচ্ছিলাম আবার সাহসও পাচ্ছিলাম।

সে যদি আমার ক্ষতি করত ও দিনই করতে পারতো। ইমাম সাহেব দূর থেকে আমাকে সালাম দিল, আমি সালামের উত্তর দিলাম, ইমাম সাহেব বলল আমার নাম ইয়ামিন, আপনি হয়তো জেনেছেন আমি মানুষ নয় জ্বীন।

আমি তো সেদিনই ইমাম ইয়ামিনকে আমার পরিচয় দিয়েছিলাম তাই তাকে আমার বিষয়ে কিছু বলতে হলোনা।

সে জিজ্ঞেস করল কি জন্য আমাকে ডেকেছেন ভাই? আমি তাকে মাহবুব ভাইয়ের সমস্ত ঘটনা খুলে বলি। ইয়ামিন ভাই আমাকে জানায়, আপনি আমাকে আজকের সময় দিন, আমি সমস্ত ব্যাপারটা জেনে আপনাকে আগামীকাল জানাবো।

আমি তার কথায় সম্মতি জানিয়ে তাকে বিদায় দেই।

প্রায় দুই ঘন্টার মত তার সাথে কথা বলেছি, এরপর একবারে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বোনের বাসায় ফিরি। এই দুই ঘন্টায় ইয়ামিনের সাথে আমার একটি বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।

পরদিন ঠিক একই সময় মসজিদে গিয়ে ইয়ামিন সহ আরো অনেক মুসল্লিকে দেখতে পাই।

এরা সকলেই জিন, এরা সাধারণ মানুষের মতোই নামাজ পড়ে বের হয়ে যায়। নামাজ শেষে আমি এবং ইয়ামিন মসজিদে বসে পড়ি, এরপর ইয়ামিন বলতে শুরু করে, আপনার মাহবুব ভাই মালদ্বীপ ঘুরতে গিয়েছিল, পরিবার জানে সে তার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়েছে।

কিন্তু সে তার একজন মেয়ে বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল।

আপনার মাহবুব ভাই এবং সেই মেয়ে বান্ধবী একসাথে থাকায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

কিন্তু তারা উভয় জানতো না যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। বাচ্চার বয়স 4 মাস হওয়ার পরে তারা বিষয়টি জেনেছিল। তখন কিছুই করার ছিল না, মেয়েটিকে বাচ্চা পেটে ধরে রাখতে হয়েছিল,

মেয়েটিকে আলাদা একটি বাসায় রাখতো আপনার ভাই, বাচ্চাটি জন্ম নেয়ার পরে তাকে জীবিত অবস্থায় সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে। এই সাগরে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য একদল ভালো জিন দেখেছে।

এই দৃশ্য দেখে তারা এটি সহ্য করতে পারেনি,

কিন্তু এর ভিতরে আপনার ভাইয়ের বিজনেস পার্টনারের সাথে আপনার ভাইয়ের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তারা দুজন আলাদা ব্যবসা শুরু করে,

কিন্তু আপনার ভাইয়ের ব্যবসা ভালো ছিল আর সেই বিজনেস পার্টনারের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছিল। তাই সে রাগে ক্ষোভে আপনার ভাইকে কালো জাদু করে।

এক তান্ত্রিকের মাধ্যমে কালো জাদু করা হয়, ৪১টি বদ জিন আপনার ভাইয়ের পিছনে চালান করে দেয়া হয়।

যে ভালো জিনেরা বাচ্চাটিকে সাগরে ফেলতে দেখেছে তারাও এই খারাপ জিনদের সাথে যুক্ত হয়।

এখন এই জ্বীনদের ভালো ও খারাপ দল মিলে আপনার ভাইয়ের পিছনে লেগে পড়েছে। ওরা চায় আপনার ভাইকে তিলে তিলে শেষ করে দিবে,

কথাগুলি শুনে আমি হকচকিয়ে গেলাম।

এর ভিতরে ই পিছন থেকে সেই কাকা মসজিদে আজান দিতে চলে আসলো। আমি যখন পিছনে তাকালাম যে কে আসছে এটি দেখব, কাকা কে দেখে যখন সামনে তাকাই তখন দেখি ইয়ামিন আর নেই সেখানে।

তখন খারাপ লাগছিল সমস্যা সমাধানের পথটি জানতে পারলাম না।

সেদিনও নামাজ আদায় করে বোনের বাসায় ফিরে গেলাম।

গিয়ে তাদের সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম যে আপনাকে আপনার বিজনেস পার্টনার কালো জাদু করেছি। বান্ধবীকে নিয়ে মালদ্বীপ বেড়াতে যাওয়ার ঘটনা বললাম না কাউকে।

তবে মাহবুব ভাইকে মালদ্বীপের ঘটনাটি বলি, মাহবুব ভাই অনেক আফসোস করে, মাহবুব ভাই আমাকে জানায় সে নাকি প্রায়ই একটি বাচ্চাকে স্বপ্ন দেখে, বাচ্চাটি করুন সুরে কান্না করে,  মাহবুব ভাইয়ের সাথে কিছু ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যা ছিল এমন।

সে পাইকারি মাছ বিক্রি করে দোকান থেকে বাসায় ফিরছিল, তখন রাত আনুমানিক 11:30, সে পাহাড়ের ঢাল দিয়ে হাঁটছিল, সে নাকি দেখতে পায় দূর থেকে পঞ্চাশটির মতো আলো তার দিকে হেঁটে আসছে। সে ভেবেছে মানুষজন হবে, সে কাছে গিয়ে দেখতে পায় প্রায় 50 এর মত বড় বড় সাপ যাদের চোখ জ্বলছে।

এই দেখে সে উল্টো দিকে দৌড়াতে শুরু করে। এবং পাহাড় ঘুরে বাড়িতে পৌঁছায়। এছাড়া আরো অনেক ঘটনা তার সাথে ঘটেছে, কোন কুকুর তাকে দেখলেই শুধু ডাকাডাকি করত, রাতে সে বাইরে বের হলে সেই আলোগুলো দেখতে পেত।

অধিকাংশ সময় সে স্বপ্নে ভয়ংকর ভয়ংকর জিনিস দেখতে পেত। অনেকগুলো কালো অবয়ব তার গলা চেপে ধরেছে, সে ভাত খেতে বসলে ভাত থেকে দুর্গন্ধ পেতো।

এভাবে করে আস্তে আস্তে মাহবুব ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোন মতে জীবনটা নিয়ে বেঁচে আছে। যাইহোক পরের রাতে আমি আবারও মসজিদে যাই, তবে এ রাতে একটু আগে গিয়েছিলাম।

ইয়ামিনকে স্মরণ করতেই সে উপস্থিত হয়ে যায়। এরপর ইয়ামিন আমাকে জানায়, এর সমাধান করা যাবে তবে কষ্ট হবে,

আমি সেই ভালো জীনদের সাথে কথা বলেছি এবং ওদের মানাতে পেরেছি।

তবে খারাপ জিনেরা তান্ত্রিকের কবলে, চাইলেই ওদের তাড়ানো সম্ভব নয়।

ইয়ামিন আমাকে বলে, এই কালো জাদু কাটাতে হলে তোমাদেরই কিছু করতে হবে। আগামীকাল আমি তোমাকে একটি পাহাড়ের উপরে নিয়ে যাবো।

 

 

{ আরো পড়ুন – মধ্য রাতের ট্রেন 

( জ্বিনের পাহাড়ে ব্লাক ম্যাজিক গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)