লাশের_ঘর – গা শিউরে উঠার মতো সত্যি ঘটনা

১ম অংশ

লাশের_ঘর-

ডাক্তার পেশায় নিয়োজিত হয়ে গ্রামের একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালে চাকরির জন্য যেতে হয় আমাকে-! শুনেছি ১০০ বছর আগের সেই হাসপাতাল টি বানানো হয়েছিলো কিছু দিন আগে হাসপাতাল টি আবার চালু করা হয়েছে-! সেই জন্য আমাকে সেখানে পাঠানো হবে মানুষ এর সেবা করার জন্য!  আমি পরিবার সহ ঢাকাতে থাকি -!

রাত ১১ টায় আমার গাড়ি ঢাকা থেকে গ্রামের উদ্দেশ্য বের হয়ে যাবে-! আমি পরিবারের সকলের সাথে কথা বলে ১০:৩০ এ বের হয়ে পড়লাম-! সময় মতো বাসে উঠে অপেক্ষা করতে ছিলাম-! বাস টাও কেমন যেন খালি খালি তেমন যাএী নেই বললেই চলে-!

রাত ১১:১০ এ বাস ছেড়ে দিলো-! একটু পর জানালার পাশে খেয়াল করলাম একটা মেয়ে বাসের দিকে ইশারা করে বাস থামাতে বলছে-!

আমি বাস ড্রাইভার কে বলে বাস থামিয়ে দিলাম-! সেই মেয়েটি বাসে উঠে আমার পাশের সিট টায় বসে পড়লো-!

মেয়েটি পড়নে ছিলো অদ্ভুত রকমের একটা শাড়ী – শাড়ীর আচল টা মাটির সাথে ঘেষে যাচ্ছে -! আমি তেমন গুরুত্ব না দিয়ে জানালার দিকে তাকালাম-!

দেখতে দেখতে রাত ১২ টা বেজে গেছে প্রায়-!

বাস চলছে তার আপন গতিতে-! আজকে রাত টা যেন একটু অন্য রকম-! চার দিকে ভীষন অন্ধকার এবং গাছ পালা গুলো দেখে মনে হচ্ছে এ যেন এক এক টা দানবের মতো-!

অদ্ভুত এক বিষয় হলো আজকে রাস্তায় তেমন একটা গাড়িও দেখা যাচ্ছে নাহ-১০/১৫ মিনিট পর পর একটি করে গাড়ি দেখা যাচ্ছে! মন টা ভীষন খারাপ – অনেক দিন পর পরিবার ছেড়ে বাহিরে কোথাও যেতে হচ্ছে আমাকে-!

চাকরির জন্য যেতেই হবে-!

আমি জানালার দিকে মুখ করে বসে আছি -! বাহিরের সুন্দর বাতাস উপভোগ করছি-!

এমন সময় শুরু হলো অদ্ভুত সকল ঘটনা -!

হঠাৎ একটা জোড়ে চিৎকার এর শব্দ শুনতে পেলাম-!

চার দিকে কেমন যেন উওাল হয়ে গেলো-! লোক জন সবাই চিল্লা চিল্লি শুরু করে দিলো!-

কোন কিছু বুজে উঠার আগেই আমি বাসে থেকে নেমে পড়লাম-!

অদ্ভুত বিষয় আমি  কোন কিছু না জেনেই একাই বাস থেকে নেমে পড়লাম-!

আমি বাস থেকে নেমে পড়ার সাথে সাথে বাস চলে গেলো-!

আমি বেশ কিছু টা দৌড়ে গেলাম কিন্তুু বাস থামালো নাহ-!

চার দিক অন্ধকার কোথায় নেমে পড়লাম তাও জানি নাহ-! চার দিকে ঘন বন কোথায় কোন আলো নেই-!

এমন অবস্থায় মাথা কাজ করছে না কি করবো এতো রাতে কোথায় যাবো কোন হোটেল নাই আশেপাশে -! কি করবো আমি কোন মানুষ কেও দেখতে পারছি নাহ-!

হঠাৎ আমার আগের অবস্থা ফিরে আসলো-! আমি ভাবতে লাগলাম আমি কেন বাসে থেকে নেমে পড়লাম-!

তার পর একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলাম-!

শব্দ টা এমন ছিলো-

আহ্ মরে যাবো -! বাঁচাও উহ্!

আমি শব্দ টা শুনে ভয় পেয়ে গেলাম এতো নির্জন রাস্তা আর এলাকায় মানুষ এর শব্দ আসলো কি করে/?

একটু পিছনে তাকিয়ে দেখলাম- একটা লোক রাস্তায় পরে আছে -! আমি আস্তে আস্তে সাহস করে তার কাছে চলে গেলাম-!

গিয়ে দেখতে পেলাম লোকটার একটা পা এর উপর দিয়ে বাসের চাকা চলে গেছে- রাস্তায়  রক্তে ভিজে গেছে-!

আমি তাকে জিগ্যেস করলাম-

আমি;: এমন হলো কি করে আপনার -!

লোকটি মৃদু ভাবে উওর দিতে লাগলো-!

একটা বাস আমাকে এক্সিডেন্ট করে চলে গেছে-!

আমি তার কথা শুনে সমস্ত ব্যাপার টা বুঝতে পারলাম- বাসটি এক্সিডেন্ট করেছে বলে তারাহুরো করে চলে গেছে-!

আমি লোকটিকে তুলে কোন রকম রাস্তার পাশে নিয়ে গেলাম-!

হঠাৎ চারদিকে অনেক বাতাস বয়তে শুরু করলো- এই তো এখনি মনে হয় ভীষন বৃষ্টি শুরু হবে-!

আমি লোকটি কে ধরে রাস্তার পাশে নেওয়ার সময় তার পা এর একটা অংশ ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে থাকলো-! আর রাস্তার বিপরীত দিক থেকে কয়েকজন মানুষ হাতে রক্ত মাখা ধা ছুড়ি নিয়ে আমার দিকে আসতে লাগলো-

এটা দেখে আমি-

 

{ আরো পড়ুন – সে আসে – ভয়ঙ্কর এক আত্মার কাহিনী

 

২য় অংশ

 

চার দিকে ভীষন অন্ধকার তার মধ্যে ঝড় শুরু হলো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো-! আমি সেই এক্সিডেন্ট হওয়া লোক টা কে রাস্তা থেকে সরিয়ে এক পাশে আনার সময় তার একটা পা ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে থাকলো-! হঠাৎ ভীষন তেজি শব্দ করে কিছু লোক আমাদের দিকে আসতে লাগলো – অল্প সময়ের মধ্যে যত টুকু বুঝতে পারলাম ৫/৭ জন মানুষ হবে-! তাদের হাতে ছিলো বড় বড় ধা আর ছুরি -!

হই হই করতে করতে আমাদের দিকে আসতে ছিলো-!

আমি  চারদিকে অবস্থা খেয়াল করে  কোন রকম দৌড়ে সেই জায়গা টা পাড় করে ফেললাম-! রাত কয় টা বাজে তার কোন ঠিক নেই! –

হঠাৎ চার দিক টা আলোকৃত হয়ে যেন কেমন একটা অদ্ভুত আলো বের হয়ে এলো আকাশ থেকে-! এ আমি কোথায় চলে আসলাম-!

আমি ধীরে ধীরে গুটি গুটি পায়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি-! কিছু টা দূর যেতেই একটা অদ্ভুত গানের শব্দ আমার কানে ভেসে আসলো-! গানের শব্দ শুনে বুঝতে পারলাম হয়তো আশে পাশে কোথাও গান বাজনা হচ্ছে -! আমি নিজের মন কে শান্ত করে সেই গানের দিকে কান পেতে এগিয়ে চললাম সামনের দিকে-!

প্রায় ২০/২৫ মিনিট হাঁটার পরেও সেই জায়গা টা খুজে পেলাম নাহ-!

তাহলে অদ্ভুত ব্যাপার সেই গানের শব্দ টা কোথায় থেকে আসছে-!

আমি চার দিকে খেয়াল করে দেখলাম-! আলো এখন আর দেখা যাচ্ছে নাহ-! আবার সেই ঘন কালো অন্ধকার চার দিকে ঘিরে রয়েছে-!

হঠাৎ পিছনের থেকে একটা বৃদ্ধ টাইপের মহিলা আমার কাঁধে হাত দিলো-! আমি ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠলাম-! এই সময় এতো রাতে এখানে কে আসতে পারে-!

আমার চিৎকার এর অবস্থা দেখে বৃদ্ধ মহিলা টি বলতে শুরু করলো-!

বৃদ্ধ মহিলা: বাবা ভয় পেও নাহ-! তুমি কে কোথায় থেকে এসেছো? এত রাতে এখানে কি কাজ তোমার?

বৃদ্ধ মহিলার কথা গুলো শুনে মনে হলো সে আসলেই একজন মানুষ আর সে হয়তো আমাকে সাহায্য করতে পারবে-!

আমি সেই বৃদ্ধ মহিলা কে আমার সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা গুলো খুলে বললাম-! সমস্ত ঘটনা শোনার পর বৃদ্ধ মহিলা বললো-

বাবা তুমি এতো রাতে কোন গাড়ি বা কিছু পাবে নাহ-! আজকের রাত টা বরং তুমি আমার বাড়িতে কাটাও কালকে ভোরে তুমি চলে যেও-!

আমি বৃদ্ধ মহিলার কোন কথা শুনলাম না -! আমি তাকে বললাম-

কালকে সকালেই আমাকে হাসপাতালে জয়েন করতে হবে আজকে রাতেই আমাকে পৌছাতে হবে সেই গ্রামে-!

আমি বৃদ্ধ মহিলাকে জিগ্যেস করলাম- আপনি কি আমাকে আজকে রাতের মধ্যে সেই গ্রামের যাওয়ার কোন উপায় করে দিতে পারবেন-!

বৃদ্ধ মহিলাটি বেশ কিছু সময় চুপ থেকে আস্তে আস্তে বলতে লাগলো- একটা উপায় আছে বাবা তবে তার বাড়ি গিয়ে তাকে রাজি করতে হবে-!

আমি তাকে বললাম- আপনার যা ইচ্ছে আপনি বলতে পারেন- আমাকে শুধু গ্রামের যাওয়ার উপায় বের করে দিন-!

হঠাৎ অদ্ভুত ভাবে চার দিক টা একটা ছোট্ট গ্রামে পরিনত হয়ে গেলো-! সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো এতো সময় আমি কোন ঘর বাড়ি কিছু দেখি নাই এখন হঠাৎ সব কিছু কোথায় থেকে আসলো তা আমার জানা নাই-!

যাই হোক আমাকে আজকে রাতের মধ্যে গ্রামের কাছে যেতেই হবে-!

বৃদ্ধ মহিলাটি আমাকে নিয়ে একটা দো চালা বাড়ির সামনে গেলো-! বাড়ির সামনে যেতেই জোড়ে জোড়ে হাঁক ছাড়তে লাগলো-

ও খুঁড়া বুড়ো – খুঁড়া বুড়ো কি বাড়িতে আছো? খুঁড়া বুড়ো? বড় বিপদে পরে তোমার কাছে এসেছি খুঁড়া বুড়ো- একটু বের হও গো-!

অনেক সময় ডাকাডাকি করার পর খুঁড়া বুড়ো একটা লাঠি ভর দিয়ে বাহিরে বের হয়ে এলো-

খুঁড়া বুড়ো : কি গো এতো রাতে কি হলো?

মহিলা: তোমার একটা উপকার করতে হবে- এই যে এই ছেলেটিকে গ্রামে নিয়ে যেতে হবে-!

আমি পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত ঘটনা দেখতে ছিলাম-!

খুঁড়া বুড়ো ২/৩ বার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো- ঠিক আছে তবে পয়সা কড়ি বারিয়ে দিতে হবে-!

আমি বললাম- আপনি চিন্তা করবেন না আপনি শুধু আমাকে পৌঁছে দিবেন-!

কথা বলা শেষ করে খুড়া একটা বইঠা হাতে ঘর থেকে বের হলো- বইঠা দেখে বুঝতে পারলাম গ্রামে যাওয়ার জন্য হয়তো নদীপথ টা এখন আমাকে ব্যবহার করতে হবে-!

আমি পিছু পিছু হেটে চললাম বেশ কিছু সময় হাটার পর সামনে একটা মস্ত বড় নদী দেখতে পেলাম পানি গুলো খুব শান্ত অবস্থায় আছে- নদীর এক পারে দাঁড়ালে অন্য পার দেখা যায় না -!

আমি একটা ছোট নৌকায় উঠে বসলাম – বৃদ্ধ মহিলা আর খুড়া বুড়ো কি যেন কথা বললো- ঠিক শুনতে পেলাম না – কথা শেষ করে খুঁড়া বুড়ো নৌকায় উঠে আসলো-

ধীরে ধীরে নৌকা চলতে শুরু করলো-!

গায়ের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস লাগছে – নদীতে পানিতে টলমল করছে- চাঁদের আলো একটু উঁকি দিয়ে আছে-!

হঠাৎ আমি নৌকার উপর একটা ছায়া অনুভব করলাম-! ছাড়া টা একটু একটু করে বড় হতে লাগলো-! আমি খুঁড়া বুড়ো দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম খুঁড়া বুড়োর মুখের অংশে বড় একটা আচরের দাগ লেগে আছে – আচর থেকে অনবরত রক্ত পড়ছে-! আচর টা লেগে তার চোখ টা বেরিয়ে পড়েছে – অদ্ভুত ব্যাপার হলো খুঁড়া বুড়ো তবুও নৌকা চালিয়ে যাচ্ছে -! এমন অবস্থা দেখে আমি –

 

{ আরো পড়ুন –  সত্য ঘটনা

 

লাশের_ঘর

শেষ অংশ

আমি আর খুঁড়া বুড়ো নদী পথ বেয়ে চলছি যে করেই হোক আমাকে আজকে সেই গ্রামে পৌঁছাতে হবে-! রাত কয়টা বাজে বুঝতে পারছি নাহ-! নদীর চার দিক টা হালকা আলোতে ফুটে উঠেছে-! হঠাৎ খুঁড়া বুড়োর মুখের মধ্যে আচর আর রক্ত দেখে ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম-! আমি নৌকার মধ্যে উঠে দাড়িয়ে পড়লাম-! খুঁড়া বুড়ো নৌকায় বসে তার মতো করে নৌকা চালিয়ে যাচ্ছে -!

কিছু সময় এমন চলতে থাকলো-! হঠাৎ চারদিক টা নিরিবিলি অবস্থা থেকে উওাল হয়ে গেলো-! নদীর পানি গুলো ঢেউ বড় বড় হয়ে নৌকা কে হেলাতে শুরু করে দিলো-!

হঠাৎ নিজের সেন্স হারিয়ে ফেললাম-! কত সময় পর যে নিজের সেন্স ফিরে পেলাম সেটা ঠিক আমার মনে নেই- তবে সেন্স ফিরে নিজেকে একটা বড় পুরনো ঘরে আবিষ্কার করলাম-! একটু আগে আমার সাথে ঠিক কি কি হয়েছে সেগুলো মনে করতে চেষ্টা করলাম-! চার দিকে কেউ নেই-! হালকা অন্ধকার -! বাহিরে এখনো দিনের আলো ফুটে নি-! বুঝতে বাকি থাকলো না যে এখনো রাত -! হঠাৎ বাহিরের থেকে একটা বিকট শব্দ শুনতে পেলাম-! শব্দ টা এমন ছিলো-!

লাশের_ঘর

কে রে ঘরে কে এলো- ওর মাংস রক্ত আজ আলাদা করে ফেলবো-!

এই কথা শুনতে পেয়ে আমি ভয়ে ভয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম -! যদি কোন মানুষ দেখতে পাই তাহলে তার কাছে সাহায্য চাইবো-!

আমি এক পা দু পা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই হঠাৎ পিছনে থেকে মৃদু কন্ঠে একটা শব্দ আসলো-!

— ডাক্তার সাহেব কোথায় যাচ্ছেন ঔ দিকে?

আমি ভীষন ভয়ে ভয়ে পিছনের দিকে ঘুরে তাকালাম কিন্তুু অদ্ভুত বিষয় কাউকে কোথাও খুঁজে পেলাম না -! আমি দুই একবার ডাকাডাকি করেও কারো কোন শব্দ শুনতে পেলাম না -!

হঠাৎ একটা মানুষ আমার সামনে আবিষ্কার হলো-! সাদা পোশাক পড়া লম্বায় বেশ বড় হবে-! চেহারা টা ভীষন সুন্দর! –

আমি তাকে দেখে অবাক দৃষ্টিতে কত সময় যে চেয়ে ছিলাম তার ঠিক নেই-!

বেশ কিছু সময় পর আমার ধ্যান ফিরে আসলো-! আমি তাকে জিগ্যেস করলাম আমাকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে কেন?  কি দোষ করেছি আমি?

কোন উওর না দিয়ে লোক টা অদৃশ্য হয়ে গেলো-!

আমি ঘরের এক কোনে বসে আছি-! হঠাৎ চোখে পড়লো একটা লাল কাপড় এর খন্ড আমার দিকে উড়ে আসছে-! আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি-! লাল কাপড়ের খন্ড টা আমার সামনে এসে থেমে গেলো-!

লাল কাপড় থামার সাথে সাথে একটা অদৃশ্য শব্দ শুনতে পেলাম-

শব্দ টা এমন ছিলো-  তুই যদি বাঁচতে চাস তাহলে এই লাল কাপড় কে অনুসরন করে আয় -! কথা টা ২/৩ বার বলার পর আর কোন শব্দ আসলো নাহ-!

আমি ভয়ে ভয়ে লাল কাপড় টা অনুসরন করতে লাগলাম-!

একটু পর একটা আস্তানা টাইপের ঘরের মধ্যে পৌছালাম -! চার দিক ফাঁকা কেউ নেই-!

সামনে দেখতে পেলাম একটা কবরের মতো করে সাজানো আর লাল কাপড় দিয়ে ডাকা -! আমি ঘরের মধ্যে ঢুকতেই কোথায় পা রাখলাম এর পর সোজাসুজি নিচে পরে গেলাম-!

নিচে পরে যাওয়ার সাথে সাথে আমার চোখ অন্ধকার হয়ে গেলো-! চার দিক টা ভীষন অন্ধকার -!

একটা অদ্ভুত পঁচা গন্ধ নাকে ভাসতে লাগলো-! আমি যে খানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে ভেজা জায়গা – হঠাৎ কোথায় থেকে চার দিকে আগুনের মশাল জ্বলে উঠলো আর চার দিক টা আলোকৃত হয়ে গেলো-!

আলোতে যা দেখতে পেলাম  তার জন্য আমি কখনো কল্পনা করতে পারি নাহ-!

আমি দেখলাম- অনেক গুলো পঁচা গলা লাশ এই সুড়ঙ্গের ভিতরে ফেলে রাখা হয়েছে- কোন লাশের মাথা নেই – কোন লাশের হাত পা কেটে আলাদা ফেলে রাখা হয়েছে- লাশের বিভিন্ন অংশ নানা জায়গায় ছড়িয়ে রাখা হয়েছে-! চার দিকে শুধু লাশ আর লাশ -!

আমি চিৎকার করে উঠলাম- এমন সময় একটা অদৃশ্য শব্দ আবার ভেসে এলো-

— কি হে ডাক্তার সাহেব লাশ দেখে ভয় পাচ্ছেন- আমরাও পেয়েছিলাম এমন ভয় – তবুও কেউ সাহায্য করে নি- কোন ডাক্তার চিকিৎসা করেনি-! এভাবেই মরে গিয়েছি আমরা-

এই কথা শোনা মাএ সমস্ত লাশ গুলো এক সাথে দাঁড়িয়ে পড়লো আমার চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না-!

হঠাৎ দিনের আলো চোখে ঢুকতেই নিজের সেন্স ফিরে পেলাম-!

পরে এলাকাবাসীর কাছে থেকে জানতে পারলাম- আমাকে লাল কাপড় টি হাসপাতালের মধ্যে নিয়ে এসেছিলো – এখানে না কি অনেক মানুষ চিকিৎসা ছাড়া মারা গিয়েছে – একটা বৃদ্ধ মহিলা আর খুঁড়া বুড়ো লোকজন কে সেবা করতো হঠাৎ এলাকার কিছু প্রভাবশালী মানুষ এর জন্য তারা আর মানুষ কে সেবা করতে পারে নাহ- তাদের ২ জন এক সাথে নদীতে ডুবিয়ে মারা হয়েছিলো-!

এইসব ঘটনা শোনার পর আমি কয়েকজন মানুষ নিয়ে হাসপাতাল টা সুন্দর করে পরিপাটি করে আবার চিকিৎসা শুরু করি-! এখন কোন সমস্যা হয় নাহ!-

 

 লেখক: আকাশ_আহমেদ

 

( লাশের_ঘর – গা শিউরে উঠার মতো সত্যি গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

 

সমাপ্ত!