ভয়ানক একটি লাশের ভূতের ঘটনা

ভয়ানক একটি লাশের ভূতের ঘটনা-

 

লেখিকা: – ডালিয়া

ঘটনাটি যার সাথে ঘটেছিল তার নাম আহমেদ শাহান।তিনি বর্তমানে মালদ্বীপ থাকলেও একসময় তিনি বাংলাদেশেরই একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।তিনি মালদ্বীপ যাওয়ার আগে শেষ যেই মসজিদে মুয়াজ্জিন ছিলেন সেই মসজিদটি ছিল হাইওয়ের সাথে।

মসজিদটির সাথে ছিল একটি পুকুর এবং দুইটি কবর।তো ওই মসজিদে যিনি ফজরের নামাজ পড়াতেন তার বয়স ছিল 75+।

তার বাসাও ছিল মসজিদ থেকে একটু দূরে।তাই প্রায় সময় তিনি মসজিদে আসতে পারতেন না।তাই আহমেদ শাহানকেই প্রায় সময় ফজরের নামাজ পড়াতে হত।তিনি ফজরের ওয়াক্তের প্রায় পনেরো মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠে পয়-পরিষ্কার হয়ে তারপর আজান দিয়ে নামাজ পড়াতেন।

তো এরকম একদিন তিনি ঘুম থেকে ওঠে বাইরে বের হন ফ্রেশ হওয়ার জন্য।তিনি বের হয়ে পুকুরের কাছে গিয়ে দেখতে পান একটি লোক কবর জিয়ারত করছেন।এই বিষয়টা শাহানের কাছে একটু অদ্ভুত লাগে।

কেননা ফজরের সময় কেউ সাধারণত কবর জিয়ারত করে না।তবুও তিনি বিষয়টা গুরুত্ব না দিয়ে পুকুরে ওযু করে পেছনে তাকিয়ে দেখেন লোকটা আর নেই।তিনি মনে করেন হয়ত লোকটা মসজিদে ঢুকেছে।

কিন্তু মসজিদে কাউকে তিনি দেখলেন না।এইভাবে প্রায় প্রতিদিন শাহান এই লোকটাকে একই ভাবে দেখতেন কবর জিয়ারত করতে।একদিন শাহান ফজরের সময় মসজিদের দরজা খুলে বাইরে বের হতেই দেখেন ওই লোকটা দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে।

লোকটা খুব জোরে সালাম জানাল।শাহান সালামের উত্তর দিল।তখন ওই লোকটা শাহানকে একটি কবর জিয়ারত করতে অনুরোধ করে।

কিন্তু শাহান তাকে বলে এখন সে পারবে না ফজরের নামাজের পরে করতে পারবে।লোকটা রাজি হয়।কিন্তু শাহান ওযু করে এসে তাকে আর পায় না।এভাবে কয়েকদিন চলল।

একদিন হঠাৎ করেই শাহানের ঘুম ভেঙে যায়।সে মনে করে ফজরের সময় হয়ে এসেছে।মসজিদের দরজা খুলে বাইরে বের হতেই দেখতে পান ওই লোকটা দাড়িয়ে আছে।লোকটার শরীরের গঠন ছিল খুবই সুন্দর,চোখে সুরমা দেওয়া ছিল,পাঞ্জাবী পরিহিত ছিল।

লোকটি তখন শাহানকে একটি লাশের জানাজা পরার আর্জি জানায়।শাহান চিন্তা করতে থাকে কাছাকাছি তো কারো মৃত্যু সংবাদ পায়নি বা কারো মৃত্যু সংবাদ তাকে এনাউন্স করতে বলা হয়নি।

এখানে বলে রাখা ভালো কাছাকাছি কারো মৃত্যু হলে তিনি মৃত্যু সংবাদ এনাউন্স করতেন

এছাড়া তিনি বাইরে কোনো লাশ দেখতে পাচ্ছিলেন না।তখন তিনি লোকটাকে লাশ কই এই কথা জিজ্ঞেস করে।লোকটা তখন শাহানকে সিঁরির দিকে তাকাতে বলে।তাকিয়ে দেখতে পায় আসলেই সেখনে একটি লাশ কাফনের কাপর দিয়েঢেকে রাখা আছে।

শাহানকে বলল লাশের জানাজা না পড়লে লাশের মুখ দেখতে হবে।শাহান তখন লাশের মুখ দেখতে রাজি হয়।সে প্রথম মনে করে হয়ত লাশটা ওই লোকের হবে নয়ত শাহানের নিজের।

কিন্তু তার ভাবনা ছিল ভুল।লাশের মুখ থেকে কাপড় সরাতেই সে দেখল লাশটা আসলে তার দাদার।সে এইটা দেখে খুব ভয় পায়।কারণ তার দাদা অনেক বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন।

এই লাশ এইভাবে তাকে দেখতে হবে সে কোনোদিনও ভাবে নি।কিন্তু ভয় পেলেও সে জানাজা পড়াতে নারাজ।

একসময় ওই লোক তাকে কিছু কথা বলে লাশ নিয়ে চলে যান।শাহান তারাতারি তার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সে মোবাইল ফোনে তাকিয়ে দেখে সময় তখন মাত্র রাত ২:৩০।

এর মানে যখন সে ঘুম থেকে উঠেছিল সেই সময়টা ফজরের ওয়াক্তই ছিল না।এরপর সে ঘুমিয়ে পড়ে।ওইদিন সে আর ফজরের আযান কিংবা নামাজ কোনোটাই করতে পারে নাই।

আর এই ঘটনার পর থেকে তিনি আর কোনোদিন কোনো মসজিদে কাজ করেনি।

 

 

 

( ভয়ানক একটি লাশের ভূতের ঘটনা আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)

ভয়ানক একটি লাশের ভূতের ঘটনা

সমাপ্ত