ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান

ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান-

ঢাকা, বাংলাদেশের সবথেকে জনবহুল এবং প্রাচীন, আধুনিকতার মিশ্রণে গঠিত একটি শহর । বিশ্বের সবচেয়ে জনসংখ্যাবান্ধব শহর হিসেবে ঢাকা পরিচিত।ঢাকা বাংলার বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক বৈচিত্র্যের রূপরেখা প্রকাশ করে।

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটির ইতিহাস হাজার বছরের বেশী পুরানো। ঢাকা সমৃদ্ধি, ঐতিহাসিক স্থান, এবং আধুনিক এবং প্রথাগত দুটি দিকের মিশ্রণের জন্য পরিচিত।

এই শহরের কিছু ভৌতিক স্থানও বহুবছর ধরে লোকমুখে বলতে শোনা যায়। কিছু স্থানের কথা শোনা যায় যেগুলি ভূত-প্রেতাত্ম এর আবাসস্থল হিসাবে পরিচিত আবার কিছু জায়গা আছে যেগুলা জনবহুল এলাকার মধ্যে কিন্তু রাত নামলেই ভৌতিক ঘটনা ঘটতে দেখে অনেকেই।

আজকে আমরা ঢাকা শহরের এমনি কিচু জায়গা এবং আর কিচু ভৌতিক দিন নিয়ে আলোচনা করবো।

 

উদাহরণস্বরূপ,

নম্বর : ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়ক:

ঢাকার সবথেকে পুরাতন মহাসড়ক গুলার মধ্যে এই ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়ক অন্যত্তম। এই মহাসড়কে নিয়ে বিভিন্ন ভুতুড়ে গল্প প্রচলিত রয়েছে। গভীর রাট এ এখানে নাকি বিভিন্ন আত্মাদের দেখা যায়

ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান

কেউ কেউ নাকি রাট এ মোটরসাইকেল অথবা প্রাইভেট কার নিয়ে যাওয়ার সময় হটাৎ সামনে কাউকে দেখতে পায়। দিনের বেলা জায়গা তা জনবহুল থাকলেও  রাত নামলেই হয়ে যায় শুন্য একটা মহাসড়ক।

এই মহাসড়ক এ এমন অনেক খারাপ অভভিজ্ঞতার শিকার অনেকেই হয়েছেন এমনি আমরা অনেক গাড়ি চালক আর থেকে জানতে পেরেছি তারা যখন এই রাস্তায় রাত এ গাড়ি চালিয়ে যেতে লাগেন তারা নাকি দেখতে পান উল্টা রাস্তা থেকে কোনো মহিলা দ্রুত তাদের গাড়ির দিকে ছুতে আসছেন। এই সময় অনেক গাড়ি চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটিয়েছেন ভয়ানক দুর্ঘটনা।

গাড়ি কিংবা গাড়ি চালক কাউকেই স্পর্শ করে না ভয় দেখিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোই এর মেইন উদ্দেশ।

ভয় না পেয়ে নিয়ন্ত্রণ না হারালেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

ধারণা করা হয় এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবার আর ৪ সদস্যের মৃত্যু হয় এই সড়কে। পরবর্তীতে তাদেরই একজন আর আত্মা প্রতিদিন এই সড়ক এ ফিরে আসে এবং মাঝরাত এ গাড়ি চালক দেড় ভয় দেখান।

 

নম্বর : পুরান ঢাকা :

পুরান ঢাকায় বেশ কিছু মিষ্টির দোকান রয়েছে , শোনা যায় প্রতিদিন রাত এ এখানে কয়েকজন লোক আসে এবং ১০ থেকে ১২ কেজি মিষ্টি কিনে নিয়ে যায়।বেশ কয়েকদিন পর পড়ি এরা আসে,এদের দেখতে লম্বা এবং কালো আলখেল্লা পরে থাকে। আজ অব্দি এদের মুখ কেউ দেখতে পারেনি। তারা যখন দোকান এ আসেন আলো নিভিয়ে দিতে বলেন।

ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান

অন্ধকার এই আসে এরা আবার অন্ধকার এই ফিরে যায়। বলা হয় এরা নাকি কোনো মানুষ নয় বরং জীন। পুরান ঢাকার প্রায় সব মিষ্টির দোকানদারি এদের চিনেন।  বলে রাখা ভালো জীনদের মিষ্টি প্রিয় খাবার এবং তারাও মানুষ এর মতোই কোনো শুভ কাজ আর আগে অথবা বিয়েতে মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখে।

পুরান ঢাকাতে আরো অনেক ভৌতিক ঘটনা আছে।

পুরাণ ঢাকা গার্লস হাইস্কুল এর সামনে দিয়ে নাকি মাঝ রাতেরবেলা একজন লাল শাড়ি পড়া মহিলা কে হেটে যেতে দেখা যায়। যেই নাকি এই সময় রাস্তা দিয়ে হেটে যায় এই বৌ আর আওয়াজ শুনতে পায়। মহিলাটি লোকদের নাম ধরে ডাকেন বলা হয় কেউ যদি ডাক ডিউন পিছন ফিরে তাকায় সে নাকি বেঁচে ফিরতে পারেন না।

 

নম্বর : লালবাগ কেল্লা:

লালবাগ কেল্লা ঢাকা র ঐতিহ্য বহন করে। এর কাজ শুরু হয় ১৬৭৮ সালে। সেই সময়ের বাংলার নবাব শায়েস্তা খান এই দুর্গ নির্মাণ এর কাজ সম্পুর্ন্ন করেন। কিন্তু এই দুর্গ নির্মাণ এর জন্যই তার জীবন এ নেমে আসে দুর্ভগ। তার একমাত্র আদরের মেয়ে পরিবিরির মৃত্যু ঘটে এই দুর্গে। এই দুর্গে এখন ও তার কবর রয়েছে। বলা হয় অমাবর্শা রাতএ এই দুর্গ থেকে নাচ গান এর শব্দ শোনা যায়।

ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান

এবং পাওয়া যায় একটি হাসির শব্দ ,অনেক বৃদ্ধ মানুষ মনে করেন এটা পরীবিবির আত্মা। অনেকে আবার রাত ৩ টার সময় কালো আলখেল্লা পড়া কাউকে ঘোড়ায় চেপে এই দুর্গ থেকে বের হয়ে আসতে দেখেছেন। এবং দেখেছেন নামাজ এর ঘর এ যেতে।

অনেকে নামাজ ঘরে গিয়েছেন কে এখানে এতো রাত এ নামাজ পড়েন কিন্তু গিয়ে কাউকেই দেখতে পায়নি।

লালবাগ কেল্লায় একটি ভয়ানক সুড়ঙ্গ রয়েছে, অনেক ব্রিটিশ সেনারা এই সুড়ুঙ্গের ভেতর গিয়েছেন দেখার জন্য ভেতর এ কি আছে ,কিন্তু তারা ভেতর এ গিয়ে আর কখনো ফিরে আসেনি।

 

নম্বর : মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম:

মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম এর ভেতর আগে যখন পুকুর ছিলো তখন নাকি সেখানে ২ থেকে ৩ বছর পর পর কেউ নাকি মারা যেতো নাইলে নিখোঁজ হতো।

ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান

অনেকদিন আগে এক দুপুর বেলায় ৬ নাম্বার সেকশন এর নান্তু নামে এক ব্যাক্তি এই পুকুর এ গোসল করতে নামেন এবং নিখোঁজ হয়ে যান। পুকুর  পারে তার গামছা লুঙ্গি পরে ছিল, অনেক ডুবুরি পুকুর এ নেমে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাকে পায়নি।

কিন্তু ২৪ ঘন্টা পরে অক্ষত অবস্থায় তার লাশ ভেসে ওঠে। বলা হয় তাকে নাকি শিকল এ নিয়ে গেছিলো। শিকল হলো এক অতৃপ্ত আত্মা যা জলা জায়গাতে থাকে।

কোনো মানুষ যখন সেই পানির মধ্যে নামে তখন এরা পা ধরে টেনে নিয়ে যায় এবং বলা হয় এখানে এই স্টেডিয়াম তৈরির সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল শ্রমিকদের।

 

নম্বর : মণিপুরীপাড়ার খ্রীষ্টান বাড়ি:

মণিপুরীপাড়ার খ্রীষ্টান বাড়ি

ঢাকার শিল্প নগরী তেজগাঁও আর মনিপুরী পাড়ার এই খ্রীষ্টান বাড়ির অনেক ভাড়াটে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস এর সম্মুখীন হয়েছেন।

অনেকসময় রাত এর একটা দুইটা নাগাদ এই বাড়ির উঠানে কাউকে দুলতে দেখা যায় এবং বাড়ির ছাদ থেকে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত  শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তৎক্ষণাৎ ছাদে গিয়েও কাউকে দেখা যায়না সেখানে।

এই ভুতুড়ে বাড়ী ঘিরে সাধারণ মানুষ এর কৌতূহল এর শেষ নেই, বলা হয় ১৬ বছর আগে এখানে একটা মেয়ে থাকতো ,যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে এই মেয়েটি নাকি মানুসিক ভাবে অসুস্থ ছিল এবং বলা হয় এখনো এই বাড়িতে তার আত্মা ফিরে আসে। বিভিন্ন ভুতুড়ে কার্যকলাপ নাকি এই মেয়েটার মৃত্যুর পরে থেকেই শুরু হয়।

আশা করি জায়গাগুলা এক্সপ্লোর করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন।

 

{ আরো পড়ুন – চলনবিল – বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর এক ভূতুরে বিল

( ঢাকা শহরের ৫ টি ভয়ানক ভৌতিক স্থান আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

পরবর্তী গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। ধন্যবাদ।)