স্মৃতির আল্পনায় রেখো আমায়
সাব্বির ইসলাম
রাত বারোটা পনেরো মিনিটে আমার প্রাক্তন আমিনুলের নাম্বার থেকে ফোন আসায় বিস্ময়ের পাশাপাশি প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে উঠি আমি।
হঠাৎ আজ দীর্ঘ ছয় মাস পরে কেনোই বা ফোন দিলো সে?
তাকে তো শেষ দেখায় বলেই এসেছিলাম তাকে আর আমার একদম ভালো লাগে না। তার মুখ দেখতেই ইচ্ছে হয় না আমার। তবুও এতোদিন পর আবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করার কোনো মানে হয়?
তার সাথে আমার দীর্ঘ ৩ বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। তবে প্রথমে আবেগের বসে তাকে ভালো লাগলেও ধীরে ধীরে বাস্তবতার নির্মম সত্যের কাছে পরাজিত হয়ে তার কাছ থেকে দূরে সরে গেলাম আমি।
তখন আসলে আমি বুঝতে পারলাম যে নিজের জীবন টা আগে গড়তে হবে। এসব প্রেম ভালোবাসা দিয়ে জীবন চলে না।
একটানা কল করেই যাচ্ছে সে, কিন্তু আমি রিসিভ করছি না। তার এই পাগলামি টা এখন অসহ্য লাগছে আমার কাছে।
অবশেষে বাধ্য হয়ে এবার কল রিসিভ করলাম আমি। রিসিভ করেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে বললাম –
কি হয়েছে আপনার?
দেখছেন না ফোন রিসিভ করছিনা, তাও কেনো অসভ্যের মতো বারবার কল দিয়েই যাচ্ছেন আপনি?
পারিবারিক শিক্ষা বলতে কি কিছু নেই আপনার?
জবাবে অপাশ থেকে কোনো আওয়াজ এলো না। শুধু তার ভারি হয়ে যাওয়া শান্ত নিঃশ্বাসের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি আমি।
কোনো জবাব না পাওয়ায় আমার রাগের পরিমাণ টা আকাশ ছোয়া হয়ে গেলো। আবারো রেগেমেগে বললাম –
কি হলো মুখে বুলি নেই কেনো এখন? কথা না বললে ফোন দিয়েছেন কেনো?
এবার সে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে শান্ত গলায় বলল –
নীরা, আমি এখন তোমার অনেক পর হয়ে গেছি তাই না? দীর্ঘ ছয়মাস তোমাকে ছাড়া কীভাবে ছিলাম তা হয়তো কখনোই বুঝতে পারবে না তুমি। আর আমি কি এতোটাই পর হয়ে গেছি যে আমাকে আপনি করে সম্বোধন করছো তুমি।
দেখুন, আমার যাকে যা ইচ্ছে হবে তা বলেই সম্বোধন করব আমি। এতে আমি আপনার কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই।
তাছাড়া এতোদিন ধরে কথা না হওয়ায় তুমি করে বলতে যেনো কিরকম অসস্থী মনে হচ্ছে
সেই দিনই তুমি আমার নাম্বার ব্লক লিস্টে স্থান দিয়েছিলে যেই দিন কোনো কারণ ছাড়াই আমার ফুলের মতো নিস্বার্থ ভালোবাসাকে তুচ্ছ করে দিয়ে একা ফেলে এসেছিলে আমায়।
চেয়েও তোমায় ফোন করতে পারি নি আমি। তবে কিছুদিন আগে আবার আমায় আনব্লক করেছিলে কিন্তু আমি তখন বিরক্ত করতে চাইনি তোমায়
বিরক্ত যখন করতে চান নি, তাহলে এখনই বা বিরক্ত করছেন কেনো? আপনাকে সেদিন বললাম না যে, আমার আপনাকে আর ভালো লাগে না। আমার সোজাসাপটা কথা কি বুঝতে পারেন নি আপনি?
নীরা, আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি তা হয়তো কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না তুমি।
আচ্ছা সে কথা থাক, কিন্তু আমার দোষ টা কি ছিলো তাও কি জানার অধিকার নেই আমার?
দেখুন আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি আপনাকে আমার ভালো লাগে না। তাও কেনো বিরক্ত করছেন আমায়? আর দোষ! আপনি কি ভুলে গেলেন যে আপনি একজন পরিচয়হীন রাস্তার ছেলে।
জীবনে কখনো নিজের বাবা-মাকে দেখেছেন? না জানেন তাদের সম্পর্কে?
বড় হয়েছেন তো রাস্তায় রাস্তায়। কীভাবে ওই পোড়া মুখে ভালোবাসার কথা বলেন আপনি? একটুও বিবেকে বাধে না?
কথাগুলো শোনে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলো সে। আমি এই কথাগুলো না বলে যদি একশো ছুড়ি বসিয়ে দিতাম ওর শরীরে তা-ও হয়তো ও এতোটা কষ্ট পেতো না, যতোটা কষ্ট পেয়েছে আমার এই তীব্র বিষাক্ত কথাগুলোর কারণে।
তবে তাও এবার একদম ভাঙা ভাঙা গলায় সে বললো –
হ্যাঁ, আমি পরিচয়হীন রাস্তার ছেলে। আমার বাবা-মা সম্পর্কে কিছুই জানি না আমি।
কিন্তু আমি তো ভালোবাসতে চাই নি তোমায়? আমি তো চাই নি কেউ আমার ভালো থাকা, ভালোলাগার কারণ হোক। আমি তো সারাজীবন একাই থাকতে চেয়েছিলাম।
তুমি যখন প্রতিদিন আমার পথ আগলে বলতে ‘ভালোবাসি’ তাতে তো প্রথমে ভ্রুক্ষেপ হয় নি আমার।
তবুও দিনদিন তোমার দেখানো অসীম ভালোবাসায় পরাজিত হতে হয়েছিলো আমাকে।
তবে এখন এতো অবহেলা কেনো করছো? তোমার অবহেলা গুলো সহস্র বিষ মাখানো ছুড়ির মতো ছিদ্র করে দিচ্ছে আমার ছোট্ট হৃদয়টাকে। এতোই যখন বিরক্ত হও তাহলে প্রথমে কেনো ভালোবাসলে আমায়?”
আপনার কোনো কথার উত্তর নেই আমার কাছে। আর আমি বাধ্যও নই আপনার কথাগুলোর উত্তর দিতে।
আর এসব কথা শোনানোর জন্যই কি ফোন দিয়েছেন আমায়? যাতে করে আমাকে ছলনাময়ী, বেইমান, প্রতারক এসব বলতে পারেন। তবে আপনি যা ইচ্ছা তা ভাবতে পারেন আমার সম্পর্কে। কিন্তু আর ফোন দিয়ে বিরক্ত করবেন না আমায়
আমায় ভুল বুঝছো নীরা। আমি তোমাকে নিয়ে কখনোই এসব ভাবতে পারি না। তবে তা-ও হয়তো বিশ্বাস হবে না তোমার। যাইহোক, জানো? ইদানীং কেনো যেনো মনে হচ্ছে আমি আর বেশিদিন বাচবো না।
তোমায় না খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। শেষবারের মতো একবার দেখা করবে আমার সাথে?
দুঃখীত, আমি পারবো না। আমার অনেক কাজ আছে
তোমার এই কাজগুলো ফুরাবে না কভু। কিন্তু ফুরিয়ে যাবো আমি। তাতেও কি কিছু আসে যায় না তোমার?
না! তাতে আমার কিছুই আসে যায় না আমার। আর এসব ন্যাকা ন্যাকা কথা বলে আমায় কখনোই গলাতে পারবেন না। বুঝেছেন?
আচ্ছা, ভালো থেকো তুমি, নাহয় রেখো আমায় তোমার স্মৃতির আল্পনায়
টুট..টুট..টু..
ফোন রেখে দিলাম আমি। আসলে আমার পক্ষে আর নিজেকে সামলে রাখা সম্ভব হচ্ছিলো না। যতই নিজেকে শক্ত করি তার এই কথাগুলো ততই দূর্বল করে দেয় আমাকে। একটা মানুষ কীভাবেই-বা এতোটা ভালোবাসতে পারে? এতোটাই সচ্ছ তার হৃদয়?
কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হলো খুব করে চেয়েও তাকে আপন করে নিতে পারছি না আমি। তার নম্র ভদ্র স্বভাবের প্রেমে পড়েছি সেই তিন বছর আগেই। একই এলাকায় বসবাস করায় তার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি আমি।
প্রতিদিন তার পথ আগলে দাড়িয়ে একটু ভালোবাসা ভিক্ষে চাইতাম। প্রথম প্রথম এড়িয়ে গেলেও পরে সে ঠিকই আমায় ভালোবাসতে বাধ্য হয়েছে। তবে কেউ এতো টাও যে ভালোবাসবে আমায় তা আমি কল্পনাও করি নি।
কিন্তু এই সুখ যে আমার ভাগ্যে ছিলো না!
আমাদের ৪ জনের সংসারের একমাত্র কর্তা ছিলেন আমার বাবা। একটা প্রাইভেট কম্পানিতে ছোট খাটো একটা চাকরি করে সংসার সামলাতেন তিনি।
আমি সেদিন কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাদের বাড়ির সামনে এসে অনেক ভিড় জমে থাকায় ঘাবড়ে যাই আমি।
যখন সব কিছু আমার কাছে একদম পরিষ্কার হলো তখন আমার মাথার উপরের ছাদ টা আমার ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে।
নিজে থিকই গুমরে গুমরে কেদেছি প্রতিদিন, কিন্তু বাইরে থেকে কাউকে বুঝতে দেই নি।
আমার একমাত্র ছোট ভাই আর মায়ের আমি ছাড়া আর কিছুই রইলো না। তাই ধীরে ধীরে নিজেকে অনেক শক্ত করেছি আমি। কয়েকটি টিউসনি করে এখন সব কিছু সামলাই আমি।
মায়ের প্রেসারের ঔষুদ, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খরচের জন্য আমার পড়াশোনা হয়ে যায় বন্ধ। সেখানে আমিই যদি সার্থপরের মতো কাউকে বিয়ে করে নিজের জীবন টাকে সুখি করে তুলি, তাহলে কি হবে আমার মা-ভাইয়ের?
তারাই-বা আমার সম্পর্কে কি মনোভাব পোষণ করবে?
না! আমি কখনোই এতোটা স্বার্থপর হতে চাই না। চাই না নিজের সুখের জন্য নিজের মা-ভাইয়ের মুখের ভাত কেড়ে নিতে। চাই না কেড়ে নিতে তাদের শুভ্র ময় মুখের এক চিলতে হাসি।
তা যে আমার কাছে বড়ই দামি। তাই তো নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে এতোটা বাজে ব্যাবহার করলাম ওই মানুষ টার সাথে। তার অনেক ভিতরে ক্ষত করেছি আমি।
সেই ক্ষতের পরিমাণ টা আমি নিজেও জানি না।
দিনদিন আমি যেনো কিরকম খিটখিটে হয়ে যাচ্ছি। তার কথা সারাদিন-রাত চেষ্টা করেও ভুলতে পারি না। ওই দিনের পর থেকে আমার সকল রাত কেটেছে নির্ঘুমে।
জীবনটা পরিচালিত করছি অনুভূতিহীন ভাবে।
অবশেষে আমার মা কিছু একটা বুঝতে পেরে একদিন জানতে চাইলেন এ বিষয়ে। বললেন আমি যেনো নিঃসংকোচে সব কিছু উনাকে বলি। আমিও আর নিজের মাঝে দমিয়ে রাখতে পারছিলাম না এসব।
ভেতর থেকে নিঃশেষ হয়ে গেছিলাম আমি। তাই সবটুকু খুলে বললাম তাকে।
অনে ক্ষণ কি যেনো ভেবে, উনি বললেন –
তোর এভাবে ছেলেটাকে কষ্ট দেওয়া একেবারেই উচিৎ হয় নি। যতটুকু বুঝলাম সে পাগলের মতো ভালোবাসতো তোকে।
শোন মা, জীবনে মানুষ অনেক কিছু পায়, কিন্তু খাটি ভালোবাসা পাওয়ার মতো ভাগ্য সবার হয় না। ছেলেটার মনটা খুব ভালো। আমার মনে হয় তাকে বললে আমরা সবাই একসাথেই একটা পরিবারের মতো থাকতে পারতাম।
তোর উচিৎ ছিলো তাকে সব কিছু খুলে বলা। তাই বলছি, সে হারিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে আপন করে নে। আমরা তো আছিই তোদের সাথে। নহলে সারাজীবন পস্তাতে হবে তোকে
মায়ের এই কথাটি শোনে সেদিন কিছু না বলে মা-কে জড়িয়ে ধরে খুব করে কেদেছিলাম। কিন্তু তা দুঃখের অশ্রু নয়। তা হলো সুখের অশ্রু।
মাত্র টিউসনি থেকে ফিরে এসে নিজের বিছানায় বসলাম। আজকেই দেখা করবো ওর সাথে। সব অনুভুতি ভাগ করে মিশে যাবো তার অস্তিত্বে।
আমি জানি শত অভিমান হলেও আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না সে। কিন্তু তার আগে একটা ফোন করে দেখা করার কথা বলা দরকার তাকে।
যেদিন তাকে ফোনে খুব করে কষ্ট উপহার দিয়েছিলাম। সেদিন-ই আমার ফোনটা বন্ধ করে রেখেছিলাম যাতে করে তাকে ভুলতে পারি। তবে তা কখনোই সম্ভব নয়।
ফোন চালু করতেই পুরনো একটা মেসেজের নোটিফিকেশন আসলো। সে দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করেই আমি আমিনুলের নাম্বারে কল দিলাম। প্রথমবার রিসিভ না হলেও দ্বিতীয় বার কেটে যাওয়ার আগ মুহুর্তে ফোন রিসিভ করলো সে –
“হ্যালো, আমিনুল”
“নীরা আপু, আমি আমিনুল ভাই নই। আমি উনার পাশের ঘরের শাহিন”
“ওহ, শাহিন ভাই। কেমন আছেন? আর আমিনুলের ফোন আপনার কাছে কেনো?”
“আলহামদুলিল্লাহ আপু। আপনি কি আসলেই জানেন না? কয়েকদিন আগেই তো রাস্তায় কি যেনো আনমনে ভেবে হাটছিলেন আমিনুল ভাই। হঠাৎ-ই একটা ট্রাক এসে চাপা দেয় তাকে।
সাথে সাথেই সেখানেই মারা যান তিনি। হাসপাতালে নেয়ার সময়টুকুও বেচারার হায়াতে ছিলো না। সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছা। আফসোস করে লাভ নেই আমাদের। আর তাই উনার ফোন আমার কাছেই”
সাথে সাথেই ফোন টা কেটে গেলো, ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে।
আমি এখনো একদম স্তব্ধ। কি বললো এসব? আমিনুল মারা গেছে? তারা কি মজা করছে আমার সাথে? না, না! তার হয়তো প্রচন্ড অভিমান জমেছে আমার উপর। আমি জানি অভিমান কমলে ঠিকই সে ফিরে আসবে আমার কাছে।
কিন্তু আমার মন কেনো বলছে, সে আর কোনোদিন ফিরে আসবে না আমার কাছে! হারিয়ে গেছে সে সময়ের বেড়াজালে!
মুহুর্তেই আমার বুকে জ্বলে উঠল এক অদৃশ্য আগুন। যা প্রতিক্ষণে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে আমার সমস্ত সত্ত্বাকে। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস যেনো ভারি হয়ে যাচ্ছে।
বুকের উপর কেউ যেনো আস্ত একটা পাহাড় রেখে দিয়েছে। আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না। এখন প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে আমার। চোখের জলের বাদ ভেঙেছে অনেক আগেই।
কেনো সময় থাকতে আমি তাকে আটকাই নি। কেনোই বা এখন অবেলায় ঝড়াচ্ছি চোখের জল। কি করা উচিৎ ছিলো আমার?
হঠাৎ সেই মেসেজ নোটিফিকেশনের কথা মনে পড়লো আমার। মেসেজটি আমিনুল দেয় নিতো?
মেসেজটি ওপেন করে দেখতে পেলাম, যেইদিন আমি তার হৃদয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিলাম সেই দিন মেসেজটি এসেছে। মেসেজ টির লেখাগুলো গুলো দেখে একদম মরা লাশের মতো হয়ে যাই আমি। কেনো তার এই অসীম ভালোবাসার মূল্য দিতে পারি নি আমি।
না, না আমি মানুষ নই! আমি মানুষরুপে অমানুষ! কি করে পারলাম আমি তাকে এতোটা কষ্ট দিতে? যে আমাকে সবসময় নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে গেছে, তার মৃত্যুর কারণই হলাম আমি। না! আমার বাচার কোনো অধিকার নেই! কি নিয়েই বা বাচবো আমি?
মেসেজ –
“তুমি চাইলে আমি তোমাকে
আকাশের চাদ এনে দিতাম।
অথচ, তুমি আমাকেই
আকাশের তাঁরা করতে চাইলে।
আমি কি কখনো ফেরাতে পারি তোমাকে?
তবে শোনো,
অবেলায় খুজবে আমায়,
থাকবো না তখন ভুবনে
স্মৃতির আল্পনায় রেখো আমায়,
রইবো নাহয় তোমার স্বপনে”
{ আরো পড়ুন – জীন ও রিক্সাওয়ালা মামা – ভয়ানক সত্য ঘটনা
( স্মৃতির আল্পনায় রেখো আমায়- আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)
Leave a Reply