রহস্যময় রাত – ভয়ানক এক অভিজ্ঞতা

রহস্যময় রাত –

 

বাড়ির একমাত্র ছেলে আমি।একমাত্র ছেলে হয়ে যে জ্বালা সেটা যদি কেউ বুঝতো তাহলে ভালোই হতো।উপযুক্ত বয়স আমার হয়েছে।

আর আমার পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্তের পরে যেটা থাকে ওইটাই।খুব কষ্টে দিন কাটে।আমার বাবা একজন জেলে।সে মাছ ধরেই আমাদের জীবিকা নির্বাহ করে।আচ্ছা আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই।

আমি আরাফ।খুব দরিদ্র ঘরের সন্তান।আর আমার বাবা একজন জেলে।তো আমার পরিচয় এইটুকুই যথেষ্ট।আমার জীবন টা কষ্টেই কেটে গেলো।

জন্মের পর থেকে এখন পর্যন্ত কষ্টে যাচ্ছে জীবন।এমন কি আমার বাবা আমার জন্ম হওয়ার পর সে খুশি ছিলো না। ছেলে হলে যেইখানে মানুষ খুশি হয়। সেইখানে আমার বাবা মটেও খুশি ছিলো না।

কেনো ছিলো না তা জানি না।জন্মের পর থরকে নানান কথা শুনে আসছি বাবার মুখে।

মনে হবে আমি অন্যের ছেলে।আমার সাথে যে এমন ব্যবহার করে অন্য কারো সাথে করলে সে সুইসাইড করতো।সে যাই হোক আমি সব কিছুই চুপ চাপ সহ্য করে নেই।মাঝে মাঝেই কটু কথা শুনতে হতো আমার যে কাজ কর্ম করি না।

বসে বসে খাই।আসলে নিজের কাছেও ভালো লাগে না এসব কথা শুনতে।তো একদিন জেদ করে বাবার নৌকা টা নিয়ে বের হলাম। মাছ ধরার জন্য নয়।ভাড়া মারার জন্য।

বাবার নৌকায় যাএীও তোলা যাই।তো রাগ করে বাড়ি থেকে বের হলাম ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে।

রাত তখন ৮টা সাড়ে ৮ টার মাঝামাঝি।আমি এর আগে কখনো ভাড়া মারি নাই।তো আমার এসব বিষয়ে ধারনা খুবই কম। ভাড়া মারতে মারতে খানিকটা বাড়ি থেকে দুরেই চলে গেলাম।

রাত বাজে এখন ১০ টা।নদীর মাঝখানে নৌকা আমার। একটা ঘাটে যেয়ে পৌছাবো। কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে।

আগে এমন টা হয় নি। তবুও কেনো যানি ভয় করছে।আশে পাশে কোনো নৌকা নেই। অন্ধকার চারপাশেই। খানিকটা ভয় হচ্ছে। উত্তাল ডেউ।আবার নৌকা চালাতেও খুব কষ্ট হচ্ছে।

মনে হয় পেছন থেকে কেউ টেনে ধরে রাখছে।তবুও হাল ছাড়ি নি।কষ্ট করে একটা ঘাটে পৌছালাম।ঠিক করলাম একা বাড়িতে যাবো না।পরিচিত কাউকে পেলে ভাড়া কম হলেও তাকে নিয়ে যাবো।

তো অনেকক্ষণ বসে থাকার পর আমি নৌকায় ঘুমিয়ে পরছিলাম।এখন জানি জোছনা রাত এর মতো হয়ে গেছে। চাঁদ মাথার উপরে।চোখ মুখ ধুয়ে নিলাম।

কিছুক্ষণ পর একজন কে পেলাম সে আমার গ্রামের পাশের গ্রামে থাকে কিন্তু তাকে তো আগে কখনো দেখি নি।লম্বা গায়ে চাদর ঢাকা।শান্ত স্বভাবের।সে যাই হোক আমি সাত পাঁচ না ভেবে তাকে নৌকায় তুলে নিলাম।কিন্তু নৌকা চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে।

মনে হয় আমার নৌকায় অনেক মানুষ আছে।কিন্তু আমি চালাচ্ছি।তাকে জিজ্ঞেস করলাম।বাপু ঘাট তো এসে পরছে।

কোথায় থামাবো?আশ্চর্যের বিষয় সে একটা বাড়ির সামনে থামতে বলল। যেখানো আগে কোনো বাড়ি ছিলো না।আমি আগে দেখিও নাই।নদীর সাথেই।

মনে হবে একটা বড় ডেউ এসে ধাক্কা দিলে তার বাড়ি নদিতে পরে যাবে।সে যাই হোক তাকে তার কথা মতো নামিয়ে দিলাম।সে নামার পর নৌকা যেনো অনেক হালকা হয়ে গেলো।

নৌকা ঘুরিয়ে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।ভাবতে অবাক লাগছে রাত টা আবার অন্ধকার হয়ে উঠলো।লোকটা যতক্ষণ ছিলো ততক্ষণ জোছনা রাত ছিলো এখনো নেই।

তো কিছুটা ভয় করছে।ভয় কাটানোর জন্য গান ধরলাম।আর নৌকা চালাতে থাকলাম। এমন সময় নদী যেনো একদম নিশ্চুপ হয়ে গেলো। কোনো সাড়াশব্দ নেই।

আমি নদীর মাঝখান দিয়েও যাচ্ছি না। তীর ঘেঁষে যাওয়ার মতো।সামনেই কবরস্থান একটু ভয় হচ্ছে যতটুকু সম্ভব তাড়াতাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবো।

হঠাৎ সেই কবরস্থান এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তো যা দেখলাম সেটির জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলাম না।এক কবর খুড়তেছে কিছু জন্তু জানোয়ার। দুর থেকে শিয়াল এর মতো লাগলেও নোকা কাছে নিয়ে যাওয়ার পর দেখলাম অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক শিয়াল।

আর আমার নৌকায় যে লোক টা ছিলো চাদরে ঢাকা সেও ছিলো।এটি দেখার পর আল্লাহর নাম নিয়ে একেক জন কে পেটানো শুরু করলাম তারা নদীতে ডুব দিয়ে পালিয়ে গেলো।

আমার শরীর পুরো জমে গেছে।পেছন ফিরে নৌকায় উঠবো এই সাহস পাচ্ছি না।যেই কবর খুড়তেছিলো সেই কাছে যেয়ে দেখার পর দেখি লাশ টা তাজা।

যেই মাটি দিয়ে ডেকে দিবো তখনি দেখি লাশ টা আর কারো নই সেই লাশ টা আমার বাবার। সেটি দেখার পর আমি এক চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।

 

লেখক: মেহরাব

 

{ আরো পড়ুন – নিশিডাক

 

( রহস্যময় রাত সত্য ঘটনা আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)

 

রহস্যময় রাত

অসমাপ্ত!