নিশি রাতে বৃদ্ধের কুটিরে –
ঘটনাটা গত বছরের ।তখন আমি বগুড়ায় চাকরি করি। বগুড়ার সারিয়াকান্দি তে ।
জরুরী প্রয়োজনে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া দরকার । ম্যানেজার এর সাথে কথা বলে একদিন এর ছুটি ম্যানেজ করে ফেললাম। রাতে যাবো। পরের দিন থাকবো।আবার পরদিন সকালে ফিরে আসবো।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে সবকিছু গোছগাছ করে রওনা দিতে দিতে রাত আটটা বেজে গেলো। একাকী বাইক নিয়ে লং জার্নি বরাবরই আমার কাছে রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার । আর সেটা যদি হয় রাতের বেলা তাহলে তো কথাই নেই।
যখন ঢাকায় ছিলাম তখন চারশত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গ্রামের বাড়িতে যেতাম।আর এখন এই দেড়শো কিলোমিটার তো নস্যি।
গ্রীষ্মের শেষ পর্যায় চলছে। প্রকৃতিতে এখন ভ্যাপসা গরম আর হঠাৎ বৃষ্টির তান্ডব। শেষ বিকেলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ঘাট অনেক বেশি কর্দমাক্ত । বউ বারবার সাবধান করে দিছে ।
যেন কর্দমাক্ত রাস্তায় অতি সাবধানে বাইক চালাই। বাসা থেকে হাইওয়েতে আসতে ত্রিশ মিনিট এর মত লেগে গেল।
মাটিঢালী বিমান মোড় থেকে শুরু হলো আসল যাত্রা । পরিবহনের বাস গুলোর বেপরোয়া ওভারটেকিং আর মাঝে মাঝে অতীব কর্দমাক্ত রোড । অতি সাবধানে এগিয়ে যেতে লাগলো আমার ডিসকভার 125 cc।
মহাস্থানগর পেরোনোর পর ফুয়েল নেয়ার জন্যে একটা পাম্পে দাড়ালাম। ঘড়িতে নয়টা পঁচিশ বাজে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ।যেকোনো সময় বৃষ্টি শুরু হবে। রেইনকোটটা পরে নিলাম। কালো বাইক। কালো রেইনকোট । কালো হেলমেট। সাথে আমি কালো মানিক। পুরাই ব্ল্যাক মেন ইন ব্ল্যাক এর মতো অবস্থা ।
চলতে লাগলাম। আঁধারের বুক চিরে ।জন্মস্থান এর হাতছানি তে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের বুকে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলকানি । ঘন মেঘের আস্তরণ এর সাথে একাকী চাঁদের লুকোচুরি খেলা।
কী একটা অপার্থিব দৃশ্যাবলি । একটু পরপরই পরিবহনের বাস গুলো সা সা শব্দ তুলে যেন অন্ধকারের গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।
পলাশবাড়ী পেরিয়েছি অনেক আগেই। হঠাৎ বাইকের স্টার্ট অফ হয়ে গেলো। ধেত্তেরি……মেজাজটা চরম খারাপ হয়ে গেলো। রাস্তার সাইডে দাঁড়ালাম। অনেকবার চেষ্টা করলাম। সেল্ফ…. কিক …. কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। নো ওয়ে। পুরাতন ডিসকভার বাইকের এইটা একটা বিশেষ সমস্যা ।
হঠাৎ বাইকের স্টার্ট অফ হবে। এর আগেও এই সমস্যা হয়েছিল কয়েকবার। কী একটা অবস্থা ।।দেখোতো।স্টার্ট বন্ধ হওয়ার আর জায়গা পেলিনা।জনমানবশূন্য একটা জায়গা।
ঘড়িতে রাত এগারোটা । ছোট প্রকৃতির ডাকে সারাদিয়ে । হাত পা ছোরাছুরি করে আরমোরা ভেঙে মিনিট দশেক পর আবার কিক মারা শুরু করলাম। কোনো রেজাল্ট নেই। কাছে বাইকের প্লাগ পরিস্কার করার মতো কোনো যন্ত্র পাতিও নাই যে নিজে একটু মেকারি করে দেখবো।
এবার আমি সত্যিই সত্যিই হতাশ হলাম। জনমানবশূন্য একটা জায়গা। আশেপাশে কোনো ঘর বাড়ি ও দেখা যাচ্ছে না। এভাবে তো বাইক নিয়ে দাড়িয়ে থাকা যায় না।
বাইক ঠেলতে ঠেলতে হাটতে শুরু করলাম। যদি সামনে কোন দোকান পাট খুজে পাই এই আশায়।
আকাশের যা অবস্থা যে কোনো সময় বৃষ্টি নামবে। উফ। কী একটা ঝামেলা দেখোতো।বউ বলেছিলো বাসে করে যেতে। বাসে গেলে সময় কাভার দিতে পারবোনা তাই বাইকের উপর ভরসা করেছিলাম।
পনেরো মিনিট ধরে বাইক ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে চলেছি। এই সময় টাতে রাস্তার দুপাশে কোথাও কোন বাড়িঘর নজরে পরেনি।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো।এই যা।কাজ সেরেছে।কী করি এখন।ওরে বৃষ্টির সাইজরে বাবা। একেকটা ফোঁটায় যেন লিটার খানেক পানি। কোথাও দারাতে হবে।
আশেপাশে কোনো ছাউনি বা বড় গাছ টাছ ও খুজে পেলাম না। আহ্ আল্লাহ্ কী বিপদে ফেললা আমাকে ।
হঠাৎ চোখে পরলো রোডের বামদিকে একটু দুরে একটা আলোকবিন্দু। মেইন রোড থেকে কয়েক কদম সামনে একটা রাস্তা নেমে গেছে বামদিকে।
তার একটু সামনেই আলো টা দেখা যাচ্ছে । হেড লাইট অন করে বাইক ঠেলতে ঠেলতে সেদিকে এগুতে লাগলাম। ইতিমধ্যেই কাকভেজা হয়ে গেছি। রেইনকোট টা পরা ছিলো ভাগ্যিস।
ইটের সুলিং করা রাস্তাটার পাশে একটা বাঁশ ঝার। তার ভিতরে একচালা একটা জীর্ণ টিনের ঘর । ঘরের সামনে একটা ছাউনির মতো জায়গা । বাইক নিয়ে সেখানে দাড়ালাম। গলা ছেরে ডাক দিলাম। ভিতরে কেউ আছেন??
জীর্ণ কন্ঠে কেউ জবাব দিলো, কেডা গো??
পুরুষ কন্ঠ নাকি নাড়ি কন্ঠ বোঝা গেল না ।
জোর গলায় বলে উঠলাম, বৃষ্টি তে আটকা পরেছি গো। হোন্ডা নষ্ট হয়ে গেছে।
ভিতর থেকে আর কোনো সাড়াশব্দ এলোনা। বৃষ্টির প্রকোপ বেড়েই চলেছে । সাথে তীব্র বিদ্যুত চমকানী। দুরে কোথাও বজ্রপাত হলো। তীব্র বিদ্যুত চমকানীর ঝলকেই আশেপাশের পরিবেশটা ঠাওর করে ফেললাম।
কেমন একটা গা ছমছম করা পরিবেশ। চারপাশে বাঁশ ঝার। মাঝখানে এই জীর্ণ কুটির। দমকা বাতাসে মাঝেমধ্যে বাঁশের আগা প্রচন্ড বেগে নুইয়ে পরতে চায় ।
জীর্ণ কুটির এর সামনে পলিথিন দিয়ে এই ছাউনিটা বানানো হয়েছে । আমি যেখানে দারিয়ে আছি। বাতাসের বেগ এতটাই বেশি যে পলিথিন এর ছাউনিটা যে কোনো সময় উরে যাবে।
মেইন রোড থেকে দুরে এইরকম একটা জনহীন জায়গাতে প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টিমুখর এই মধ্যরাতে একটা অদ্ভুত পরিবেশে দাড়িয়ে আছি আমি একাকী ।
ভূত প্রেত কখনো বিশ্বাস করিনি। অশরীরীতে কোনো ভয় নেই আমার । ভয়তো পাই শরীরী মানব সন্তান দের যারা অসহায় পথিক দের ছুরি চাকু পিস্তলের ভয় দেখিয়ে সব কিছু ছিনতাই করে নেয়।
সাথে বাইকটা আছে তাই ভয় আরো বেশি। এটা ছিনতাই করতে গিয়ে আমাকে মার্ডার করতেও দ্বিধা করবে না তারা।
বৃষ্টির তান্ডব একটু কমেছে বৈকী । বিদ্যুৎ এর ঝলকানি ও থেমে গেছে। চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার । কুটিরের ভাঙা বেড়া দিয়ে ভিতরের একটু আধটু আলো বের হচ্ছে ।
মোবাইলের টর্চ জালাবো। ফোনটা পলিথিন থেকে বের করে রুমাল দিয়ে মুছতে লাগলাম। হঠাৎ ছাউনির বিপরীত প্রান্ত থেকে পাশাপাশি দুটি আলোক বিন্দু আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
কলিজায় ছ্যাত করে উঠলো আমার । শীড়দারা বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেলো। তারাতারি ফোনের টর্চ জালালাম। ওহ নো। ওটা একটা বিড়াল ছানা। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে গুটি গুটি পায়ে।
হঠাৎ দরাম করে আমার পিছনের দরজাটা খুলে গেলো। লাফ দিয়ে সাইডে সরে গেলাম। বুকটা কাপছে দুরুদুরু করে। এভাবে কেউ দরজা খোলে।
একটা বিশ্রী গালি দিতে যাবো ।হঠাৎ দরজায় চোখ আটকে গেলো।সাদা কাপড় পরা সাদা ঝাকরা চুল ওয়ালা এক বৃদ্ধা হারিকেন হাতে দাড়িয়ে আছে।
এক হাতে হারিকেন আরেক হাতে লাঠি। শীর্ন কন্ঠে বলে উঠলেন, আফনে কেডা?? বাড়ি কুনে আফনের??
আমি ভয়ার্ত গলায় জবাব দিলাম। সত্যিই এই পরিবেশে এই অবস্থায় এই পৌঢ়া বৃদ্ধা কে দেখে যার পর নাই ভয় পেয়েছি আমি । চাচী আমাক চিনবেননা।
অনেক দুরের মানুষ আমি।। বৃষ্টি তে আটকা পরছি । আশেপাশে কোন বাড়িঘর নাই।তাই আপনের এখানে আসছি:
বৃদ্ধা বললেন”” ঘরের মধ্যে আইসেন বাপজান।
ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও কুটিরের ভিতর ঢুকলাম। বাইরে থেকে যেমন জীর্ণ লাগছিলো। ভিতরে তারচেয়ে আরো বেশি। অর্ধভগ্ন একটা চৌকিতে বস্তা বিছানো। পাশে একটা পুরাতন কলস। কলসের পাশে দুই তিনটা নোংরা হারিপাতিল।
তিনটা কালো বিড়াল বসে আছে বস্তা বিছানো চৌকির উপর। বৃদ্ধা থরথর করে কাঁপছে । আমি বললাম, চাচী আপনে কী অসুস্থ?? এখানে কী একাই থাকেন??
উত্তরে বৃদ্ধা বললেন “” না গো বাজান আপনের চাচা থাহে। হাটে গেছে। এই তো বিষ্টি থামলেই আইবো ঘরে”
আমি মোবাইলের টর্চ দিয়ে ঘরের চারপাশটা দেখতে লাগলাম। বৃষ্টি অনেকটা কমে গেছে। বৃদ্ধার দিকে তাকালাম ভালো করে। মিনিমাম আশি নব্বই বছর হবে উনার।
বয়সের ভারে নুইয়ে পরেছে শরীর। সাদা সাদা কোকরানো চুল। ময়লা সাদা একটা কাপর পেচানো শরীরে। সামনের একটা দাঁত বাইরে বের হয়ে আছে।
পায়ে কোনো সেন্ডেল জুতা কিছুই নাই। হাতের নখ গুলো অস্বাভাবিক বড়। চোখের দৃষ্টিতে কেমন যেন পৈশাচিক চাহনি। চৌকিতে বসে থরথর করে কাপছে। আমি বললাম, চাচী আপনে শুয়ে থাকেন। বৃষ্টি কমছে আমি যাই এখন”
হঠাৎ বৃদ্ধার কন্ঠে পরিবর্তন । রাগী স্বরে চেচিয়ে উঠলেন
দেহেননা বিষ্টি পরতাছে কেমনে যাইবেন। বহেন বহেন”
বৃদ্ধার প্রতি মায়া হচ্ছে । রাগ হচ্ছে। আবার ভয়ও লাগছে।মন চাচ্ছে দৌরে বের হয়ে যাই ঘর থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উচ্চ স্বরে কাশি দিলাম কয়েক বার।
বৃদ্ধা আবারো রেগে উঠলেন। বললেন”” ঐ মিয়া শব্দ করেন ক্যান। আমার গ্যাদা ঘুমায়া আছে দেহেননা। উইঠা যাইবো তো””
ঘরে আমরা দুজন ছারা আর কেউ নাই। এই মহিলা বলে কী।। গ্যাদা আবার কোথায় ঘুমাই আছে।। আশ্চর্য । এই মহিলার মাথায় সম্ভবত গন্ডগোল আছে।
এইবার আমার সত্যিই সত্যিই ভয় করতে লাগলো।। মহিলার দিকে তাকালাম । ও রে আল্লাহ্ ।বড় বড় দাঁত বের করে কী হিংস্র ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।প্রচন্ড ভয়ে ঘেমে গেলাম। নিজের হার্টবিট নিজেই শুনতে পাচ্ছি। মহিলাকে বুঝতে দিলামনা যে আমি ভয় পেয়েছি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আবার
বললাম, ও চাচী চাচায় কখন গেছে বাজারে??
উনি যে উত্তর দিলেন এটা শোনার জন্যে প্রস্তুত ছিলামনা আমি।উনি কাঁদো কাঁদো গলায় বলে উঠলেন “”” ষাইট বছর হয়ে গেলো। হেই যে বেডায় হাটে গেলো। আর আইলো না। তয় আইজ মনে অয় আইবো”
ভাইরে আমি আর এক সেকেন্ড ও দেরি করলাম না । বৃদ্ধা মহিলার দিকে ফিরা তাকাতে আর সাহস হইলো না। ঝটকা মেরে দরজাটা খুলে বাইকের হেড লাইট অন করে ঠেলতে ঠেলতে দিলাম দৌর।
বৃষ্টি হচ্ছেই । থামার কোন নাম গন্ধ নাই। দৌরাতে দৌরাতে মেইন রোডে চলে এলাম। সেই বাঁশ ঝারের দিকে তাকালাম । আলোটা এখনো জ্বলছে টিমটিম করে।
হঠাৎ প্রচন্ড একটা বাতাসের ঝাপটা গায়ে এসে লাগলো আমার ।আবার বিদ্যুত চমকাচ্ছে । প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হলো আশেপাশে ই কোথায়ও।।
বিশ্রী কন্ঠে বিড়ালের ডাক ভেসে এলো সেদিক থেকে । মনে হলো একটা বিড়াল আর্তনাদ করে উঠলো। আশ্চর্য জনক একটা ঘটনা ঘটে চলেছে। আশেপাশে কোথাও তীব্র বাতাস নাই।
অথচ সেই বাঁশ ঝার থেকে শো শো শব্দ ভেসে আসতে লাগলো।।আর সেই আলোক বিন্দু টা।
হ্যা একটা আলোক বিন্দু এগিয়ে আসছে আমার দিকে। মেরুদণ্ড বেয়ে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে যেতে লাগলো আমার । কালেমা শাহাদাত পরতে লাগলাম জোরে জোরে।
বাইকের উপর উঠে শরীরের সব শক্তি একত্র করে কিক মারতে লাগলাম আল্লাহ্ এর রহমতে বাইক এইবার স্টার্ট নিলো।
দিলাম এক টান। ঘন্টায় 60 কিমি বেগে।পাঁচ মিনিট পরেই একটা পেট্রলপাম্প পেলাম। পাম্পের সাথেই একটা চায়ের হোষ্টেল। অনেক লোকজন এখানে ।দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে।রাত এখন বারোটা দশ মিনিট।।
পুনশ্চ, চায়ের হোটেলের সামনে বাইক রেখে ভিতরে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে একটু সুস্থির হয়ে বসলাম।
এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি নিয়ে লোকজন এর সাথে কথা বললাম। কথা বলে যা জানলাম । তার সারাংশ এই যে……বাঁশ ঝারের মধ্যে সেই কুটিরের ভিতর এক বৃদ্ধা ভিখারী বাস করতো এবং সে গত মাসে মারা গিয়েছে ।
এখন সেখানে আর কেউ থাকেনা। আমার কপাল ভালো যে আমি জীবন নিয়ে চলে আসতে পেরেছি সেখান থেকে।
একজন পরামর্শ দিলো ভাই সকাল পর্যন্ত এই খানে বসে থাকেন। সকাল হলে রওনা দিয়েন।
আমি ভ্যাবাচ্যাকা মেরে বসে রইলাম। বৃষ্টি ততখনে থেমে গেছে।মেঘের আড়াল থেকে চাঁদ উকি দিচ্ছে। দুর থেকে শেয়ালের ডাক ভেসে আসছে। একটু একটু করে শীতল বাতাস বয়ে চলেছে ….
{ আরো পড়ুন – রহস্যময় রাত
( নিশি রাতে বৃদ্ধের কুটিরে সত্য ঘটনা আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)
Leave a Reply