আসমানী ও জ্বীন – ভূতের গল্প

আসমানী ও জ্বীন –

লেখকঃ ইসরাত

 

যদি কোনো ১৬বছরের মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারো আমাবস্যার রাতে তাহলে নিশিকাল তুই তোর সব জাদুক্ষমতা ফিরে পাবি। আর সেই মেয়ের গর্ভে যে সন্তান আসবে সে তোর থেকে আরো শক্তিশালী।

আসছে অমবস্যায় আমরা ফিরে পাবো আমাদের পুরোনো শক্তি। দাউ দাউ করে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। শেষ করে দিব সব কিছু সব কিছু চলে আসবে আমাদের দখলে।

হা হা ৫০ বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলল বলে। ফিরিয়ে আনবো আগের সবাই কে। আমি চন্ডি কখনো হার শিখেনি সকল শয়তানের শক্তি সকল জাদুবিদ্যা আমার মধ্যে আমি ধারন করব।

হা হা হা।

মা আমি তোমার সৎ মেয়ে তাই তুমি একটু ভুলের জন্য আমাকে মারছ? তুমি না আমার আপন খালা??   ওমা গো কেনো এমন করে মারছ ঘরের সব কাজ তো আমিই করে দেই ।

তাও কেনো তুমি আজকের এইটুকু বিষয় নিয়ে আমাকে মারছ মাগো আর মেরো না সহ্য করতে পারছি না চামড়া ফেটে রক্ত বেড় হতে চললো,

মরে যা তুই একটা আপদ আমার কপালে জুটেছে আজকে থেকে এই অন্ধকার ঘরে তুই থাকবি।

মরতে পারিস না কত মেয়েরা কত রোগ শোকে মারা যায় তোকে এতো রকম শাস্তি দেই, না খাইয়ে রাখি তাও তুই মরস তো নাই আরো সুন্দর রূপে রূপবতী জিরো ফিগার নিয়ে বড় হয়ে উঠো। বলতে বলতে বাম গালের উপর গরম খুন্তি বসিয়ে দিল অধরা চৌধুরী।

আসমানী ও আল্লাহ আমাকে বাঁচাও বলে চিৎকার দিয়ে সেই অন্ধকার রুমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।

তুই কি মানুষ না রাক্ষসী হাত থেকে একটা গ্লাস পড়ে গেছে তার জন্য মেয়েটার সাথে এতোটা খারাপ ব্যবহার তুই করতে পারিস তোর ভিতর কি আল্লাহর ভয় আসে না।

তুই তো ওর আপন খালা তাও কেনো নিজের বোন ঝীর সাথে এতো জঘন্য আচরন করতে পারোস তোর কি মায়া বলতে কিছু নাই?

চুপ থাক বুড়ি, হ্যা আমি রাক্ষসী তোর সমস্যা এতই যখন নাতীর জন্য এতই দরদ তো যা না তুই এই বাড়ি থেকে তোর নাতিকে নিয়ে। তুই তো কম অন্য ধংস করিস না। খুব তারাতারি তোদের সব গুলোকে বিদায় করব।

তুমি আমাকে তুই তুকারি করছ আমি তোমার মায়ের সমতুল্য।

আর রাখ তোর মা নিজের মাকেই কখনো ছাড় দেইনি আর তুই শ্বাশুড়ি হয়ে আসছোস মা দাবী করতে।

নাহ তোমার মুখে মা ডাক শোনার মত ইচ্ছে আমার নেই তার চেয়ে মরন ভালো মায়া রাক্ষসী একটা। সামান্য একটা গ্লাসের জন্য মেয়েটাকে এমন শাস্তি তুই দিতে পারোস।

শোন বুড়ি মোটেও আমি ঐ গ্লাসের জন্য মারিনি আজ ও কি কান্ড ঘটিয়েছে তুই জানিস?? ওকে আমি কতবার বলেছি আসমা তুই মেহমানের সামনে বের হবি না কারো সামনে যাবি না। কিন্তু ও আমার কোনো কথায় শুনেনি।

আজ চাঁদনী কে ছেলে পক্ষ দেখতে এসেছিল সেটা তুই যানিস কিন্তু তোর নাতী যখন ছেলে পক্ষ আসে তখন ও হটাৎ করে সামনে চলে আসে।

আমার চাঁদনী যার গায়ের রং দুধে আলতার মত দেখতে, সারাক্ষণ যাকে আমি পুতুলের মত যত্ন করে সাজিয়ে রাখি সেইখানে চাঁদনী কে না কাজের বেটির মত দেখতে  তোর নাতী আসমা কে পছন্দ হয়েছে।  ঐ অবস্থায় দেখে পছন্দ হয়েছে ছেলের মায়ের।  এখন আসমাকে বউ করে নিতে চায়।

লাগাম দাও মুখে আসমানীকে কাজের মেয়ের মত করে রাখো তুমি আসমানী দেখতে এমনিতেই সুন্দরী ওকে সাজানোর প্রয়োজন হয়না ও মুক্তর মত সব সময় ঝলমল করে।

আর চাঁদনী কে তো তুমি টাকা দিয়ে সুন্দর করেছো। পিতলের পাতীলের মত কয়দিন পর পর ঘষা মাঝা করতে হয় নাহলে তো কালচে ভাব তৈরি হয় যা দেখতে খুবি বিশ্রী লাগে।

ও তো বড় তাহলে ওকে রেখে কেনো চাঁদনী কে বিয়ে দিতে চাইছো কেনো আগেই বলেছি ওকে আগে বিয়ে দেও ওর বিয়ে হয়ে গেলে তো আর এই আপদ থাকত না ।

মুখ সামলে কথা বলুন চাঁদনীও কিন্তু আপনার নাতী।

কেনো তুমিই তো বললে আমার নাতী আসমানী।

মম মম তারাতারি রুমে আসো তো।

হ্যা চাঁদনী মা আসছি।

মা ঐ মেয়েটার জন্য আমি কি রাইয়ান কে হারিয়ে ফেলব?  মা দেখো রাইয়ান কে প্রথম দেখায় আমি ভালোবেসে ফেলেছি তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমার ভালোবাসাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।

আচ্ছা মা আমি কি আসমার থেকে দেখতে সুন্দর না?  আচ্ছা মম আচমকা ওর এতো রূপ কই থেকে আসে?  মাঝে মাঝে আমিও ওর দিকে তাকালে আর চোখ ফেরাতে পারিনা।

ও কে মা?  ওর মাঝে অদ্ভুত কিছু আছে না হলে এমন হয় কিভাবে আমি ২দিন পার্লারে না গেলে কেমন যেন হয়ে যাই কিন্তু ও এমন কেনো?

শোন ওসব তোর মনের ভুল ওকে তো আমার দেখলে শরীর জ্বলে উঠে। মনে হয় ও আমার জন্ম সত্রু। আর ওর আজ বাম গাল পুড়ে দিয়েছি আর কখনো ওকে সুন্দর লাগবে না।

আসমানী নিজেকে নতুন কোনো জায়গায় আবিষ্কার করল যেখানে শুধুই রাত দিনের আলো বুঝা যাচ্ছে না চারদিকে জঙ্গল সো সো বাতাস বইছে,

হটাৎ আসমানী পিছনে একটা শব্দ শুনতে পেলো তাকিয়ে দেখে কোনো এক বিদঘুটে আকৃতির পিশাচীনি ওর দিকে তেরে আসছে।

আসমানী ও জ্বীন

আসমানী ভয়ে দৌড়ানো শুরু করে। দৌড়াতে দৌড়াতে আসমানী বড় একটা আম গাছের নিচে দাড়ালো হটাৎ কারো শব্দ শুনতে পায় আসমানী মা আমাকে তুই বাঁচা নিয়ে যা আমাকে এখান থেকে তুই তারাতারি আয় আসমানী মা আমাকে বাঁচা।

কে তুমি?  কই থেকে আমাকে ডাকছো?  সামনে আসো আমার সাথে এভাবে গায়বি ভাবে কেনো কথা বলছ।

মা আসমানী আমাকে বাঁচা।

কে তুমি?  বলে আসমানী চারদিকে খুজঁতে লাগল। কোথায় তুমি কথা বলছ না কেনো? সামনে আসো।

আসমানীর মাথায় কিছু একটা দিয়ে আঘাত করা হয়। আসমানী মা বলে চিৎকার দিয়ে উঠে নিজেকে আবিষ্কার করল অন্ধকার ঘরে। আসমানী এবার প্রচন্ড রকম ভয় পেয়ে যায় আসলেই এটা কি স্বপ্ন ছিল নাকি বাস্তব।

আসমানী রাতারাতি ঘামতে শুরু করে। ভয়ে আসমানীর গলা শুকিয়ে গেছে আসমানী আসতে আসতে উঠে দাড়ায় দরজায় গিয়ে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে আর বলছে মা আমার অনেক ভয় করছে বেড় করো ।

এখান থেকে ও দাদী আমায় বার করো আমি অনেক ভয় পাচ্ছি ক্ষমা করো আমাকে আমাকে এই অন্ধকার ঘর থেকে বের করো আসমানী চিৎকার দিয়ে কাঁদতে শুরু করে আর দরজা ধাক্কাতে থাকে কিন্তু কারো কোনো সারা শব্দ পাচ্ছে না। আস্তে আস্তে আবারও আসমানী অচেতন হয়ে পরে।

মিসেস অধরা আপনি যেভাবে চাইছেন এটা সম্ভব না কারন আপনার শ্বশুর সকল সম্পত্তি আসমার নামে করে দিয়েছে এখন চাইলেও আপনি এই জায়গা বিক্রি করতে পারবেন না।

উকিল সাহেব এটা কি ভাবে সম্ভব?  আমার শ্বশুর নিখোজঁ আরো ১০ বছর আগে থেকে। সে কিভাবে আসমানীকে সব কিছু লিখে দিল?

সে নিখোজঁ হওয়ার আরো ২ বছর আগেই তার সব সম্পত্তির মালিক করে গেছেন আসমানীকে। তখন আসমানীর ১৮ পূর্ন হয়নি তাই আপনাদের দায়িত্বে ছিল কিন্তু এখন সম্পুর্ন সম্পত্তির মালিক ও।

আপনারা চাইলেও এখন কিছুই করতে পারবেন না। আর ওকে মেরে ফেললে ওর সব কিছু এতিম খানায় চলে যাবে।

তাহলে এখন কি করতে পারি উকিল সাহেব?

ওর থেকে যেভাবে হোক সই করিয়ে নিতে হবে।

ওকে দেখছি।

অধরা দৌরে স্টোর রুমে যায় দরজা খুলে দেখে পুরো ঘর অন্ধকার কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না । মোবাইলের ফ্লাশ অন করে খুঁজতে শুরু করল আসমানী কে।

আসমা আসমা বলে অধরা ডাকতে শুরু করে।কিন্তু কোথাও আসমানীকে দেখা যাচ্ছে না। হটাৎ পায়ের সাথে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় অধরা।

হুরমুর খেয়ে অধরা আসমানীর গায়ের উপর পরে যায় ভয়ে আ, বলে চিৎকার করে উঠে অধরা । চাঁদনী অধরার চিৎকার শুনে দৌড়ে চলে আসে

মম মম তুমি কোথায় বলতো? কি হয়েছে তোমার?

এই যে আমি স্টোর রুমে একটা টর্চ নিয়ে আসো তো আর তোমার করীম চাচা কে ডাকো সে যেনো তারাতারি স্টোর রুমে আসে।

চাদঁনী করীম সাহেব কে ডেকে স্টোর রুমে নিয়ে যায়।

কি হয়েছে মেডাম জরুরি তলব কেনো??

এই যে আসমানীকে এখান থেকে নিয়ে ওর রুমে শুয়ে দিয়ে আসুন।

আসমানী নামটা শুনে আঁতকে উঠল করীম সাহেব। তার মানে আসমানী এই বাড়ীতেই থাকে আর এতো বছর আমি এখানে আছি কখনো তো দেখেনি আমি ভেবেছি হয় তো ওকেও ওর মায়ের সাথে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

অধরা করীম সাহেবের দিকে ধমকের সুরে বলে উঠল

কি হলো চাচা তুলুন ওকে তারপর ওর ঘরে শুয়ে দিয়ে আসুন।

করিম সাহেব নীরবতা ভেংগে আসমানীকে কোলে তুলে ওর রুমে শুয়ে দিয়ে আসে। আর ভাবতে শুরু করে আসমানী এখানেই আছে খবরটা আজকেই ওস্তাদ কে পৌঁছাতে হবে।

কিন্তু কি ভাবে এখান থেকে যাবো উপায় বের করতে হবে। বেশি দেরি করা যাবে না।  আহারে মেয়েটাকে ঐ পিশাচীনি না জানি কত যন্ত্রনা দিয়ে রেখেছে। কবে যে এই অন্ধকার ছায়া এখান থেকে কেটে যাবে কে জানে।

চাঁদনী মা যা তো ডাক্তার ডেকে নিয়ে আয় ওকে মেরে ফেলা যাবে না ওকে বাচিঁয়ে রাখতে হবে, না হলে আমাদের প্লান সব শেষ।

ওকে মম। আচ্ছা মা তুমি না বললে আসমার গালে তুমি গরম খুন্তি চেপে ধরেছিলে কই কিছুই তো বোঝা যাচ্ছে না।

আরে হ্যা সত্যি তো এটা হতে পারে না। ওর গালে তো ফোসকা পড়েছিল কিন্তু কই গেলো সেটা।  আচ্ছা পড়ে ভাব্বো সেটা কিন্তু আগে ডাক্তার ডাক।

আসমানীকে ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার কিছু ঔষধ দিয়ে যায়।   আসমার দাদু আসমার পাশে বসে থাকে সব ঔষধ পত্র সেই খাওয়ায়।

রাতে সকল ঝামেলা মিটিয়ে অধরা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো হটাৎ অধরার কানে কিছু অদ্ভুত আওয়াজ আসতে শুরু করল, অধরা ভয়ে এক পা সামনে আগায় ২ পা পিছনে দিকে যায়।

ক কে এমন অদ্ভুদ শব্দ করছ?  কে তুমি সারা দাও?

হা হা হা তুই আমাকে চিনতে পারছিস না? আমি চন্ডি তোর মা

চন্ডি, আমার মা?

আয় আয়নার সামনে দেখে যা আমি কে।

অধরা আয়নার সামনে যেতেই প্রথম নিজেকে দেখলেও কতক্ষণ পর একটা অর্ধ চেহারার মহিলাকে দেখতে পেলো।

কে কে আ আপ আপনি??

আমি তোর মা

আমার মা?

হ্যা তোর মা তুই আমার সন্তান তোর শরীরে পিশাচীনির রক্ত বইছে।

না এটা হতে পারে না কি ভাবে সম্ভব আমি মানি না আমি পিশাচ সন্তান,আমি মানব সন্তান।

না তারা তোর মা – বাবা না। আমি তোর মা- আর তোর বাবা হলো রিন্দা সে বন্দী আছে বিরাট একটা জঙ্গলে বড় একটা বট গাছে। আমি তোর মা। তুই যাকে মা বলে জানিস তার সন্তান বদলে আমি তোকে রেখে আসি। যাতে তুই সুস্থ থাকো।  না হলে যে কোনো সময় তোর উপর বিপদ আসতে পারে।

তাহলে আমার জায়গায় যে ছিল সে কোথায়?

ওকে শয়তানের নামে উৎসর্গ করেছি।

বিশ্বাস করি না আমি।

বিশ্বাস না হয় সেটা কাল রাতেই বুঝতে পারবি ভরা পূর্নিমার রাত তখন তোর শরীরে প্রচুর ব্যথা অনুভব হবে শরীর জ্বলে পুড়ে আসবে।

কি বলছেন এসব।

হ্যা ঠিক বলছি।

না এই রকম হতে পারে না।

এটাই হবে আমি কাল আবার আসব। হা হা হা হা হা হা।

বলেই চন্ডি আয়না থেকে চলে যায় অধরা বার বার খুজঁতে শুরু করে কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়না। সারারাত অধরা আয়নার দিকেই তাকিয়ে থাকে।আর নিজেকে বার বার দেখতে থাকে।

আমাকে যেভাবে হোক এখান থেকে বের হতে হবে। কিন্তু এ বাড়ির লোক কখনোই আমাকে এমনিতে ছুটি দিবে না তারচেয়ে পালানোর চেষ্টা করাই ভালো হবে।

যেই ভাবা সেই কাজ করীম সাহেব কোনো কিছু না নিয়ে ওখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়।

অবনী মা অবনী

হ্যা বাবা তুমি এসেছো?

হ্যা গো মা এসেছি তবে আজ এখনি আমাকে বের হতে হবে কোথায় যাচ্ছি কিছুই বলব না। তবে হ্যা মা আমাকে আটকানোর চেষ্টা করবে না আজ যদি না যাই তাহলে সামনে দুষ্টের দমন আমরা করতে পারব না। তুই তোর মাকে নিয়ে তোর নানু বাড়িতে চলে যা।  আর হ্যা আমি হটাৎ করেই আসব ততদিনে তুই একটা কাজ করবি সুন্দর করে একটা নকশী কাথাঁ সেলাই করে রাখবি।

আর নামাজ পড়ে বাবার জন্য দোয়া করবি।  আর কখনো যদি কোনো বুড়ি তোর কাছে ভিক্ষা নিতে আসে তখন ভিক্ষা তো দিবি আর সাথে খাইয়ে দিবি।  এখন আমি আসছি আর যে অবস্থায় থাকো না কেনো সব সময় শুকরিয়া আদায় করবি।

আচ্ছা আব্বা তুমি চিন্তা করো না। তুমি শুধু দোয়া করো আমি যেনো সঠিক পথে চলতে পাড়ি।

আচ্ছা মা আসি বিদায় দে মা।

ফীআমানাল্লীলাহ।

করীম সাহেব দৌড়ে চলে গেলো উওরের জঙ্গলের দিকে পুরো জঙ্গল পেড়িয়ে একটি নদী। যেভাবে হোক এই নদী আমাকে পেরিয়ে যেতেই হবে কিন্তু এতো বড় নদী কোথায় নৌকা পাবো অনেকক্ষন ভাবতে ভাবতে

আসমানী ও জ্বীন

হটাৎ একটি বৃদ্ধ লোক সামনে এসে রুক্ষ গলায় জিজ্ঞেস করল।

কে হে আগন্তুক তুমি?

আমি করীম আমার অনেক তারা আছে আপনি কি আমাকে নদীটি পার করে দিবেন?

তুমি কি জানো না এই নদী সহজে কেউ পার হতে পারে না?

হুমম জানি তবে আমাকে পার হতে হবে। যে ভাবে হোক নদীর ওপারে যেতে হবে।

কিভাবে?

তা জানিনা তবে এটুকু জানি আল্লাহ একটা ব্যবস্থা করে দিবেন।

আমি তোমার একটি পরিক্ষা নেবো যদি তুমি উর্ত্তিন হও তাহলেই তোমাকে আমি ওপারে দিয়ে আসব।  আরো যদি আমার সাহায্যের দরকার হয় তাও করব।

আচ্ছা।

মনে করো আমি তোমাকে নদীর মাঝখানে নিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছি বা ফেলে দিয়েছি এমতাবস্থায় তুমি ভয় পেতে পারবে না।

করীম সাহেব লক্ষ করলেন আসলেই সে নদীর মাঝখানে আছেন আর পানিতে অনেক জোরে জোরে ঢেউ শুরু হয়েছে। এমন ভাবে নৌকা নড়াচড়া করছে এই বুঝি নৌকা উল্টে যাবে।

কিন্তু তার মনে কোনো ভয় কাজ করছে না তবে তার উদ্দেশ্য সে পৌছাবে। সাথে সাথে সে নৌকায় ২ রাকাত নফল নামাজের নিয়্যত করে দাড়িয়ে গেলো নামাজে সালাম ফিরানোর সাথে সাথেই নৌকা উল্টে গেলো।

 

{ আরো পড়ুন – হঠাৎ জ্বীন

( আসমানী ও জ্বীন গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)