হোস্টেলের আত্মা

হোস্টেলের আত্মা

আমার নাম আকাশ৷আমি ঢাকার একটা কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছি৷আমার ঢাকা শহরের কাউকে চিনা না৷তাই আমি একটা হোস্টেলে উঠলাম৷আমি দশ তলার রুমে উঠলাম৷

আমি একাই ছিলাম দুদিন পর আরও দুজন আসল৷তাদের সাথা আমার বন্ধুত্ব হলো৷তারা বলছিল নাকি আমাদের ওয়াস রুমের সামনে যেই বটের গাছ আসে সেখানে নাকি কাউকে বসে থাকতে দেখা যায়৷আমি এসব বিষয়ে একদম ভয় পাই না৷

এই দুদিন আমারকে দুজন ডেকে নিয়ে যেত৷তারা এই হোস্টেল থেকে চলে গেছে৷আমি একাই ওয়াস রুমে গেলাম৷আজকে একটু অদ্ভুদ লাগল৷আমার ওয়াস রুমের সামনের বট আছে৷বট গাছের দিকে তাকাইতেই দেখি যে একটা লোক বসে আছে কিন্তু এতরাতে কেউকি গাছে উঠবে৷তার গায়ে সাদা পোশাক৷চুল গুলো বাতাসে উড়ছে৷তার মুখটা দেখা যাচ্ছে না৷

হঠাৎ সে আমার দিকে তাকালো তার মুখ দেখে আমি আঙ্গান হয়ে গেলাম৷তার পর কিছু মনে নেই৷

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমি বিছান শুয়ে আছি৷আমাাকে একজন বলল:আমি বলেছিলাম না একা একা ওয়াস রুমে যাবে না৷তাও কেন গিয়েছিলে৷আমার শুধু কালকের কথাই মনে পড়ছে৷ওখানে কে ছিল৷

যদি ভূত হয় সে কেন এখানে এসেছে৷আর কীই বা চায় সে এসব কথা আমার মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে৷আমি বায়রে সেই বটের গাছের কাছে গেলাম৷দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু ঠিক আছে৷আমি আজকে রাতে আবার আসব৷ রাত হলো আমি একজনকে বলছিলাম আমার সাথে আসতে৷কিন্তু সে মানা করে দিল৷আর আমাকেও যেতে মানা করল৷আমি তার কথা না শুনে একাই আসলাম৷আমার আসার দু ঘন্টা হয়ে গেছে৷সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে তাই চলে যাব৷

যখনি চলে যা জোরে বাতাস শুরু হলো৷আমি বুঝে গেছি যে ভূত এসে গেছে৷আমি পিছনে তাকাইতে দেখি যে একটা মেয়ে হাওয়াতে উড়ছে৷আর সে আমাকে বলল আমি কাউকে ছাড়ব না৷একেক করে সবাইকে মারব৷সবাইকে মেরে আমার প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়ব কিছু বলতে যাব তখনে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল৷এই সব কি হচ্ছে আমি বুঝতে পরছিনা৷

আমি রুমে গিয়ে ভাবতে থাকলা কে এই মেয়ে কার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চায়৷আর কেনই বা প্রতিশোধ নিতে চায়৷এসব কথা আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে৷এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানিনা৷

সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনতে পেলাম যে আমাদের হোস্টেলের একটা ছেলে মারা গেছে৷এই কথা শুনে আমার কালকের রাতের কথা মনে পড়ল৷তাহলে সত্যি কী সে সবাইকে মেরে ফেলবে৷কিন্তু কে এই মেয়ে৷

আমি আবারও ঔই বটের গাছের কাছে গেলাম৷গাছের পিছনে যাই গাছের পিছনে দেখতে দেখতে পেলাম৷কিছু একটা লেখা আছেন ভাল মতো বুঝতে পারছিনা অন্য ভাষায় লেখা আছে৷আমি মোবাইল দিয়ে ছবি তুললাম৷আমি একজনকে চিনি যে এসব ভাষা বুঝতে পারে৷তাই আর বেশি ডেরি না করে তার নাম্বারে ফোন করলাম৷

আমি:আস্সালামু আলাইকুম!

আংকেল:ওয়ালাইকুম আসসালাম!

আমি:আমি আপনাকে একটা ছবি পাঠাইছি৷ঐই ছবিতে আন্য ভাষায় কিছু লেখা আছে৷আমি বুঝতে পারছি না৷আপনি দেখে বলতে পারবেন৷

আংকেল:তারাতারি দেও৷

আমি আংকেলকে ছবিটা দিলাম আংকেল ছবিটা দেখে আমাকে ফোন দিল৷আর বলল:এযটা একজনের নাম৷নামটা হলো ইরা৷

আমি:ধন্যবাদ আংকেল৷

আমি এই হোস্টেলের একজন কর্মচারীকে ডাকলাম৷

আমি:আমার একটা কাজ করে দিতে পারলে৷আমি পাঁচ হাজার টাকা দিব৷

কর্মচারী:কী কাজ?

আমি:আমাকে একজনের খবর দিতে হবে৷একটা মেয়ে যার নাম ইরা৷

কর্মচারী:কিন্তু এ নামে আনেক মেয়ে আছে৷

আমি:তুমি সবার রেকর্ড নিয়ে আসবে৷

কর্মচারী:ঠিক আছে৷

এক ঘন্টা পর কর্মচারী আসল৷সে আমাকে ফাইল দিয়ে বলল:আমাক টাকা দেন৷আর এই বিষয়ে কেউ যেন না জানে৷

আমি:ঠিকাছে৷

আমি ফাইল চেক করলাম কিন্তু এত নামের মধ্যে ওই মেয়ের খবর পাব কীভাবে৷তখনি আমার চেখে একটা জিনস পরল যে এখানে সবার আসা ও যাওয়া সময় দেওয়া আছে৷কিন্তু একটা মেয়ের আসার সময় আছে৷কিন্তু যাওয়ার সময় নাই

আর একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম৷ওই সময় একটা লোককে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে৷ওনার ফেন নাম্বারও আছে৷তাই আমি সে যই নাম্বারে ফোন দিলাম৷একজন ফোন ধরল৷

আমি:আপনি কী জাফর বলতেছেন৷

লোকটা:হুমম!কী দরকার?

আমি:আপনার সাথে কী আমি দেখা করতে পারি?

জাফর:কেন?

আমি:একটা কাজে আপনার সাথে দেখা করতে হত৷

জাফর:বিকেল ৫ টার সময় আসবে৷

আমি:ধন্যবাদ!

জাফর:ওকে!

এখন বিকেল হলো৷আমি জাফরের আংকেল সাথে দেখা করতে যাব৷জাফর আংকেল যেখানে দেখা করতে বলেছিল আমি সেখানে ঠিক ৫ টা বাজে চলে এলাম৷একটা লোক সামনে দাড়ে আছে৷আমি তার কাছে গিয়ে বললাম:আপনি কী জাফর?

লোকটি:হুমমম!আমি জাফর৷কী দরকার ছিল৷

আমি:একজনের ব্যাপারে জানার ছিল৷

জাফর:কার ব্যাপারে?

আমি:নীহার ব্যাপারে৷

আমি নীহার নাম নেওয়া সাথে সাথে ওনার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে৷

জাফর:কেন?তুমি ওকে কীভাবে চীন?

আমি সবকিছু খুলে বললাম৷

আমি:এখন যদি নীহার ব্যাপারে না জানি তাহলে আরও অনেক মারা যেতে পারে৷প্লিজ আমাকে নীহার ব্যাপারে বলুন৷

জাফর:এক বছর আগের কথা!নীহা এই হোস্টেলে প্রথম এসেছে৷মেয়েটা আনেক ভালো ছিল৷সবাইকে সাহায্য করত৷বিশেষ করে আনাথ বাচ্চাদের জন্য আনেক কিছু করছেন৷তারপর একদিন কী হলো মেয়েটা একটা রহস্য জনতে পারল যা আমিও জানতাম না৷

আমি:কী রহস্য৷

জাফর:আমাদের হোস্টেলের মেয়েদেরকে কিডনাপ করে আন্য দেশে পাঠে দেওয়া হয়৷এই কাজ আর কেউ না আমাদের হোস্টেলের মালিকেই মেয়েদের কিডনাপ করে৷এই কথা নীহা জানতে পারে৷তাই একদিন হোস্টেলের মালিকের বাড়ি যায়৷কোনো একটা কারণে আমিও তাদের বাড়ি গেছিলাম৷

তখন নীহা বলল:আমি আপনার ব্যাপারে সব কিছু জেনে গেছি৷আমি পুলিশকে সবকিছু বলে দিব৷

হোস্টেলের মালিক:কী জেনে গেছ?

তারা:আপনি যে মেয়েদের আন্য দেশ পাছার করেন৷আমি পুলিশকে বলে দিব৷

মালিকের মখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে৷

মালিক:আমি চাইনি যে এসব বিষয়ে আন্য কেউ জানুক৷এখন যখন এত কিছু জেনেই গেছো৷তাহলে তোমাকে মরতে হবে৷

পিছন থেকে একটা লোক নীহার মাথায় আঘাত করল ওইখানেই নীহা মারা গেল৷ওইখানে আমি বাদে সবাই মালিকের লোক৷

মালিক:হোস্টেলের পাশে যেই বচ গাছ আছে ওইখানেই একে পুতে দে৷

আমিক আমার কাছে আসল আর বলল:তুই যদি এই বিষয়ে কাউকে বলিস তাহলে তোর পুরো পকিবারকে মেরে ফেলব৷

এই ভয়ে আমি কাউকে এই বিষয়ে বলিনি৷আমি জানি আমার ভুলের কারণে ওই মেয়ে সবাইকে মেরে ফেলবে৷

আমি:এইখানে আপনার কোনো দোষ ছিল না৷আপনি তো আপনার পরিবারকে বাচানোর জন্য এসব করেছেন৷আপনি যদি আমাকে সাহায্য করেন তাহলে আমরা মেয়েটাকে মুক্তি দিতে পারি৷

 

লেখক:রিয়াদ

 

{ আরো পড়ুন – মৃত্যুর জঙ্গল

( হোস্টেলের আত্মা গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)