চন্দ্রাবতী

চন্দ্রাবতী

নিস্তব্ধ অন্ধকার রাত চারিদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে দূর থেকে শেয়ালের হুক্কা হুয়া ভেসে আসছে আশেপাশে কোনো জনমানব এর দেখা নেই নিরিবিলি রাস্তায় দুজন লোক কাঁধে করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছে,,,তারা হাঁটতে হাঁটতে একটা পুরনো কবরস্থানে এসে পৌছালো ।

তাদের মধ্যে একজন বললো শফিক আমার ভীষণ ভয় করছে রে যদি কেউ দেখে ফেলে ? আরে রফিক এই অন্ধকার রাতে কে আসবে এতো ভয়ংকর জায়গায়? তুই ভয় পাস না আমরা কাজ টা শেষ করে দ্রুত চলে যাবো এই কাজের জন্য মোটা অংকের টাকা যে পেয়েছি সেটা ভুলে গেলি নাকি।

না ভুলি নি তবে যায় বলিস ভাই এরকম দুই একটা কাজ পেলে আমরা রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবো বল হ্যা হ্যা এখন তাড়াতাড়ি চল ভোর হতে বেশি দেরি নেই চটপট কাজ শেষ করে বাকি টাকা টা ও নিতে হবে।

এরপর দুজনে কবরস্থানের গেইট ধরে ধাক্কা দিতেই ক্যাচ করে আওয়াজ তুলে গেইট টা খুলে গেলো নিস্তব্ধ পরিবেশে আওয়াজ টা ভয়ংকর শোনা গেলো দুজন ধীরে ধীরে ভিতরে প্রবেশ করলো।

হঠাৎ রফিক এর মনে হলো পিছন থেকে কেউ কিছু বলছে।

আমাকে বাঁচান আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান আমি বাঁচতে চাই আমাকে মেরে ফেলবেন না দয়া করে সাহায্য করুন।

রফিক ঢোক গিলে পিছনে ফিরে তাকালো কিন্তু কেউ নেই এখানে শফিক বললো কিরে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলি কেনো তাড়াতাড়ি চল। ভাই তুই কিছু শুনতে পাস নি? কি শুনবো ? এখানে তুই আর আমি ছাড়া কেউ নেই  আরে শোন না আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম এখানে কেউ আছে সাহায্য চাইছে।

তোকে কত বার বলেছি নেশা টা কম করে কর মাতাল এর বাচ্চা এখানে তুই আর আমি ছাড়া শুধু কবরবাসী আছে এখন কি ওরা তোর কাছে সাহায্য চাইছে নাকি ? চল তাড়াতাড়ি।

ওরা আবার হাঁটা শুরু করলো তারপর একটা ফাঁকা জায়গায় এসে কাঁধ থেকে জিনিস টা নামিয়ে কোনো রকম একটা গর্ত খুঁড়লো ।

তারপর দুজন মিলে সেটাকে তুলে গর্তে রাখতে যাবে এমন সময় ভিতর থেকে একটা মেয়ের হাত বেড়িয়ে আসলো। তারমানে এটা কোনো মেয়ের লাশ।

লাশের হাতে একটা আংটি ছিলো যেটায় খুব সুন্দর করে ডিজাইন করা আর মাঝখানে ইংরেজি অক্ষর সি লেখা আছে,,,ওরা দ্রুত আংটি টা খুলে নিলো  রফিক বললো ভাই এটা একটা মেয়ের লাশ দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দরী আমার না ওর মুখ টা দেখতে ইচ্ছে করছে কাপড় টা সরিয়ে একটু দেখবো?

তুই কি পাগল হয়েছিস ? দেখার দরকার নেই তাড়াতাড়ি মাটি চাপা দে আর বেরো এখান থেকে  রফিক মুখ টা গম্ভীর করে ফেললো তারপর দুজন তাড়াতাড়ি মাটি চাপা দিয়ে দিলো। তারপর শফিক বললো নে এবার চল গিয়ে বাকি টাকা টা নিতে হবে,,টাকা তো পেলাম ই আর সাথে এই আংটি টা বলেই দুজন পিছন ফিরে হাঁটা ধরলো।

হঠাৎ পিছন থেকে রফিক আবার শুনতে পেলো  আমাকে নিয়ে যান এখানে আমার ভীষণ ভয় লাগছে আমাকে রেখে যাবেন না দয়া করে সাহায্য করুন ।

রফিক দাঁড়িয়ে পড়লো আর আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলো শফিক এবার বিরক্ত হয়ে বললো  তোর এখানে থাকার শখ হলে তুই থাক আমি গেলাম,,আরে ভাই আবার সেই আওয়াজ এখানে কেউ আছে আমাদের সাহায্য চাইছে।

কই আমি তো কিছু শুনলাম না এসব তোর মনের ভুল চল এখন। এবার আবার ও আওয়াজ এলো তবে ভয়ংকর আওয়াজ সাথে চিৎকার।

বললাম না আমাকে এখানে রেখে যাস না আমাকে নিয়ে যা তোরা কি ভেবেছিস এখান থেকে বেঁচে ফিরবি ? না কাউকে ছাড়বো না আমি এবার দুজনেই আওয়াজ টা শুনতে পেয়েছে,, শফিক বললো ভাই সত্যিই কেউ আছে তাড়াতাড়ি চল এখান থেকে নইলে মারা পড়বো বলেই দুজন দৌড়ে যেতে লাগলো।

অন্ধকার হওয়ায় সামনের কিছুই নজরে আসছে না কিছুর সাথে পা লেগে দুজনেই উল্টে পড়ে গেলো একজন গিয়ে একটা ভাঙ্গা কবরে পড়লো সেখানে থাকা কংকালের ভাঙ্গা হাড় বিঁধে গেলো শরীরে আরেকজন গিয়ে পড়লো এক পাশে কারো পায়ের সামনে।

মাথা উঁচু করে উপরে তাকিয়ে সে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা প্রায় একটা মেয়ে ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে চোখ গুলো জ্বল জ্বল করছে মুখে অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন চেহারার ভয়ংকর রাগ মনে হচ্ছে সব কিছু শেষ করে দিবে।

দয়া করে ছেড়ে দিন আমরা কিছু করিনি আমরা নির্দোষ আমাদের যেতে দিন। শফিক এখনো সেই ভাঙ্গা কবরে পড়ে আছে ওঠার শক্তি নেই হাড় গুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বাজে ভাবে গেঁথে আছে ।

এবার মেয়েটা তার হাত বাড়িয়ে রফিক কে তুলে এক আছাড় মেরে ওই কবরে ফেলে দিলো তারপর চোখের ইশারা করতেই কবর থেকে অনেক গুলো ভয়ানক হাত বেড়িয়ে দুজনকে মাটির নিচে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো ওদের দুজনের আকাশ কাঁপানো চিৎকারে।

আশপাশের শেয়াল গুলো জোরে জোরে ডাকছে মূহুর্তের মধ্যে সব কিছু থেমে গেলো ভাঙ্গা কবরে মাটি দিয়ে ঢেকে গেলো মেয়েটা জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বাতাসে মিলিয়ে গেলো ওখানে পড়ে রইলো সেই আংটি টা। হঠাৎ করে সেটা ও উধাও হয়ে গেলো।

২ বছর পর

ব্রেকিং নিউজ আজকে আবার ও শহর থেকে কিছু টা দূরে একই জায়গায় আবার ও দুইটা ছেলের লাশ পাওয়া গেছে মারার পদ্ধতি এক কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি পুলিশ তদন্ত করেও কোনো সুরাহা বের করতে পারছে না কে বা কারা এই খুন গুলো করছে।

এখনো অবধি কিছুই জানা যায় নি খুনি ভীষণ ধূর্ত এবং পাক্কা শীকারি কোনো প্রমান ছাড়া একের পর এক খুন করেই চলেছে পুলিশ এখনো কিছুই করতে পারছে না সাধারণ জনগণ এখন ভীষণ ই ভয়ে ভয়ে আছেন কখন কার উপর হামলা হয়ে যায় কেউ জানে না তাই আপনারা সবাই সাবধানে থাকবেন আরো তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

টিভি টা অফ করে রিমোট টা ছুড়ে ফেলে দিলো রিনিতা  এসব কি শুরু হলো শহরে এভাবে যদি একের পর এক খুন হয় তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবো কি করবো আর পুলিশ এর লোক গুলো ও কিছু ই বের করতে পারছে না এভাবে চলতে থাকলে আমরাও এক সময় মারা যাবো।

রান্না ঘর থেকে স্নেহা বেড়িয়ে এলো হাতে দুইটা কফির কাপ একটা রিনিতার হাতে দিয়ে বললো ।

এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছে সবাই ছেলে একটাও মেয়ের লাশ পাওয়া যায়নি তাহলে তুই এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো বল তো? খুনি যেই হোক মনে হচ্ছে ছেলেদের প্রতি খুব ই রাগ আর ঘৃনা আছে যার জন্য এতো নৃশংস ভাবে মারা হচ্ছে।

রিনিতা কফির কাপে চুমুক দিয়ে বললো  আপু আমাদের উচিত এই বিষয় টা নিয়ে একটু খোঁজ নেওয়া হতে পারে কিছু একটা আমাদের সামনে চলে এলো ।

হুম আমি ও সেটাই ভাবছি,, আচ্ছা শোন লিমন কে ফোন করে আসতে বল ওর সাথে কথা আছে আমরা সবাই মিলে একটা গ্ৰামে যাবো ওখানে এমন একটা রহস্যময় বাড়ি আছে যেখানে দিনের বেলায় ও কেউ যেতে চায় না আমাদের জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ যদি ওই রহস্য খুঁজে বের করতে পারি তাহলে আমাদের আর পাই কে।

ঠিক আছে আমি তাহলে এখনি ফোন করছি  আর শোন রনক কে ও আসতে বল । রিনিতার মুখে হাসি ফুটে উঠলো সে মনে মনে রনক কে ভীষণ পছন্দ করে কিন্তু কাউকে বলতে পারে না স্নেহা এসব প্রেম ভালোবাসা বিশ্বাস করে না ওর কাছে সবই নাটক মনে হয় ।

চন্দ্রাবতী

স্নেহা আর রিনিতা দুই বোন রিনিতা দুই বছরের ছোট স্নেহার থেকে,, তবে ওদের মধ্যে খুব মিল একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারে না। ওরা দুজন শহরে থাকে কাজের জন্য একটা চ্যানেল এর সাথে যুক্ত আছে ওরা দুই জন,,। দুই বোন এর ই সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই তবে ওরা নতুন সেইজন্য এখনো চাকরি টা পাকা পোক্ত হয়নি।

বিভিন্ন রহস্য খুঁজে রিপোর্ট তৈরি করা আর সেগুলো নিয়ে ওদের বস এর কাছে দেওয়া এটাই ওদের কাজ যদি বড় কোনো রহস্য খুঁজে বের করে রিপোর্ট বানিয়ে দিতে পারে তাহলে ওদের কে বড় পোস্ট এ চাকরি দেওয়া হবে আর তাই বাবা মা কে ছেড়ে দুই বোন শহরে থাকে  ওদের মা বাবা গ্ৰামে থাকে মাঝে মাঝে এখানে এসে মেয়েদের দেখে যান।

রিনিতা এর মধ্যেই লিমন আর রনক কে ফোন করে বাসায় ডেকে নিয়েছে ওরা কিছুক্ষণ এর মধ্যেই চলে আসবে। লিমন আর রনক ও ওই চ্যানেলের সাথেই কাজ করে তবে ওরা ভালো পোস্ট এ কাজ করছে ।

আপু আমি কল করে দিয়েছি ওরা একটু পরেই চলে আসবে  তবে তুমি যে বলছো কোনো একটা গ্ৰামে যাবে ওখানের সন্ধ্যান তুমি কোথায় পেলে ? পেয়েছি কোনো ভাবে কিন্তু তার আগে আমাদের খুঁজতে হবে শহরে এতো খুন কে করছে এটাও একটা রহস্য লিমন আর রনক আসুক তারপর আমরা ওখানে যাবো যেখানে লাশ গুলো পাওয়া গেছে যদি কিছু পাওয়া যায়।

কিন্তু আপু এই কেস টা নাকি ইন্সেপেক্টর শুভ্র হাতে নিয়েছে ওখানে আমাদের যাওয়া টা কি ঠিক হবে?

স্নেহা একটা দির্ঘশ্বাস ফেলে বললো যেই হোক না কেন আমরা ওখানে যাবো কেউ আটকাতে পারবে না।

তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো রিনিতা গিয়ে দরজা খুলে দিলো সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওর পছন্দের মানুষ টি যাকে দেখলে বুকের ভিতর ধক ধক করে উঠে লিমন হালকা কাশি দিয়ে বললো ভিতরে ঢুকতে দিবে নাকি এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো? রিনিতা তাড়াতাড়ি সরে গিয়ে ওদের ভিতরে ঢুকতে দিলো।

দুইজন গিয়ে স্নেহার অপর পাশের সোফায় বসে পড়লো তারপর লিমন বললো। এতো জরুরি খবর দিলে যে? কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি।

না কোনো সমস্যা না তবে কিছু জানার উপায় পেয়েছি একটা গ্ৰামের খবর পেয়েছি ওখানে নাকি একটা পুরোনো বাড়ি আছে সবাই বলে ওখান আত্মা আছে ভয়ে কেউ দিনের বেলায় ও যায় না  আমি ঠিক করেছি আমরা ওখানে যাবো আর ওই আত্মার রহস্য কি সেটা খুঁজে বের করবো।

রনক বললো এসব প্রেত আত্মা বলতে আদৌ কিছু আছে ? সব ই গুজব হয়তো কোনো মানুষ ই এসব করছে কোনো বেআইনি কাজ হয় হয়তো সেগুলো লুকানোর জন্য আত্মার গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে।

সেটা ওখানে গেলেই জানা যাবে তবে তার আগে আমাদের ওই জায়গায় যেতে হবে যেখানে আজকে আবার দুইটা লাশ পাওয়া গেছে কিছু ক্লু যদি পেয়ে যায় তাহলে ভালো হবে  ওরা সবাই টুকটাক আরো কথা বললো তারপর রেডি হয়ে চার জন ই বেরিয়ে পড়লো ওদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

ঘটনাস্থলে অনেক মানুষের ভিড় সবাই একই কথা বলছে এটা কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না কোনো অতৃপ্ত আত্মা করেছে  লাশ গুলোর অবস্থা এমন যে তাদের চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই এরা কারা  তবে পোশাক দেখে মনে হচ্ছে বড় লোক ঘরের ছেলে।

ইন্সপেক্টর শুভ্র লাশ এর দিকে তাকিয়ে বললো,, এদের কে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেও তার আগে বোঝা যাবে না এরা কারা মুখের অবস্থা একদম খারাপ করে দিয়েছে মনে হচ্ছে সব রাগ মুখের উপর দিয়ে তুলেছে । লাশ গুলো এ্যামবুলেন্স এ তোলার সময় ওখানে স্নেহা  রিনিতা,,লিমন আর রনক এসে উপস্থিত হলো ওরা লাশ দেখতে চাইলে শুভ্র মানা করে দিলো

আপনারা এখানে কেনো এসেছেন ? এখন লাশ দেখা যাবে না এই রাশ গাড়িতে তোলো।

স্নেহা সামনে গিয়ে বললো  আপনি আমাদের আটকাতে পারেন না আমরা সাংবাদিক আমাদের রাইট আছে সব কিছু দেখার  বলেই লাশ উদ্ধার র দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো  কাপড় সরান,, একজন কনস্টেবল শুভ্র এর দিকে তাকালে সে মাথা নাড়িয়ে বললো সরাতে  তারপর লাশ এর উপর থেকে কাপড় সরিয়ে দেওয়া হলো।

প্রথমে সবাই একটু চমকে গেলো এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলে যে কেউ ভয় পাবে চোখের জায়গায় চোখ নেয় তুলে ফেলা হয়েছে মুখে অসংখ্য ক্ষত চিহ্ন একবারে বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে। লাশ দেখে ওরা কিছুই পেলো না  হতাশ হয়ে পিছনে ফিরে তাকিয়ে আবার এক ঝটকায় স্নেহা লাশের দিকে তাকালো।

এগিয়ে গিয়ে খুব সাবধানে গলার কাছের কাপড় টা সরিয়ে দেখলো সেখানে ইংরেজি অক্ষর সি লেখা এবার স্নেহা অন্য লাশ টাও দেখলো সেখানে ও সি লেখা আছে স্নেহা এটা দেখে বললো সি তে কি বোঝায় আর লাশ এর গলায় কেনো এই চিহ্ন।

অন্য দিকে  একটা দোতলা বাড়ি একদম পুরোনো অন্ধকার ঘেরা সেখানে একজন বৃদ্ধা আস্তে আস্তে প্রবেশ করলো তারপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে ডান দিকের একটা ঘরে প্রবেশ করলো সেখানে আগে থেকেই একজন লোক বসে আছে সামনে অনেক গুলো মোমবাতি জ্বালানো তার মধ্যে একটা পাত্রে কিছু তরল জিনিস রাখা দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা করছে কোনো তন্ত্র মন্ত্র।

বৃদ্ধা এসে ওই লোক এর পাশে দাঁড়িয়ে বললো  প্রতিশোধ শুরু হয়ে গেছে এবার একে একে সবাই মরবে কাউকে ছেড়ে দিস না বিশ্বাসঘাতক দের একটাই শাস্তি সেটা হলো মৃত্যু ।

এবার সেই লোক টা চোখ খুলে নিজের হাতের মুঠো খুললো তারপর সেদিকে তাকিয়ে বললো তোমার জন্য আমি সব করতে পারি তুমি এসো নিজের প্রতিশোধ পূর্ণ করো চন্দ্রাবতী লোক টার হাতে সেই আংটি টা যেটার মধ্যে সি অক্ষর লেখা হঠাৎ ই সেখানে ধোয়ার মতো কিছু এসে আংটি টা নিয়ে চলে গেলো।

সকালের ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে এখনো সূর্য উঠে নি লালচে আভা দেখা যাচ্ছে সেই দৃশ্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে দুচোখ ভরে দেখছে রায়ান এই রকম সকাল তার ভীষণ পছন্দ সাথে একটা মানুষ কেউ তার কথা ভাবতে ভাবতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।

হঠাৎ দুটো হাত এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে পিঠের উপর মাথা রাখলো  রায়ান হাত দুটো ধরে বললো চন্দ্রা!

পিছন থেকে জড়িয়ে ধরা হাত দুটো আলগা হয়ে গেলো পিছন ঘুরে সে ওখান থেকে চলে যেতে পা বাড়ালো।

রায়ান নিজের ভুল বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি পিছন ঘুরে হাত টেনে ধরে বললো সরি মেঘা আমার এটা বলা উচিত হয় নি জানি না কিভাবে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে প্লিজ মাফ করে দাও।

মেঘা রায়ান এর দিকে এগিয়ে এলো ওর চোখে পানি চিকচিক করছে,, তবুও নিজেকে সামলিয়ে রায়ান এর হাত ধরে বললো আমি জানি তুমি ওকে ভুলতে পারছো না তুমি ওকে প্রচন্ড ভালোবাসো সেটা আমরা সবাই জানি কিন্তু সে কি তোমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য রায়ান?

দুই টা বছর হয়ে গেলো তবুও তুমি ওকে ভুলতে পারছো না কিন্তু সে দিব্যি তোমাকে ভুলে অন্য কারো সাথে ভালো আছে  আমি যত বার তোমার কাছে এসেছি তত বার তুমি আমাকে নয় তাকে অনুভব করেছো,,।

আমি কখনো অন্যের জায়গা নিতে চায় না রায়ান শুধু আমার জায়গা টুকু আমাকে দিও।

রায়ান মেঘার দিকে তাকিয়ে ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো  আমাকে মাফ করো মেঘা আমি সত্যিই ইচ্ছা করে তোমাকে কষ্ট দিতে চায় নি  তুমি তো জানো ও আমার হৃদয় জুড়ে ছিলো আমি কখনো ওকে ভুলতে পারবো না আমি বিশ্বাস করতে পারিনা ও কিভাবে আমার সাথে এমন টা করতে পারলো  আমি চায় ওকে ঘৃণা করতে কিন্তু পারি না।

তোমাকে আর কোনো কষ্ট পেতে দেবো না মেঘা এখন থেকে আর ওর কথা ভাববো না ও যদি অন্য কারো সাথে ভালো থাকতে পারে তাহলে আমিও এখন থেকে ভালো থাকবো।

মেঘা খুশি হয়ে রায়ান কে জড়িয়ে ধরে বললো আমি কখনো তোমাকে কষ্ট পেতে দেবো না যতদিন বেঁচে আছি তোমার সাথেই থাকবো কখনো ছেড়ে যাবো না কথা দিলাম।

রায়ান কিছু একটা ভেবে এক ঝটকায় মেঘা কে সরিয়ে দিলো তারপর উল্টো দিকে ঘুরে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে মেঘা চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো রায়ান তুমি ঠিক আছো তো?

হ্যা আমি ঠিক আছি আচ্ছা শোনো আজকে বিকালে রেডি থেকো বাইরে ঘুরতে যাবো আমি অফিস থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসবো।

এটা শুনে মেঘা খুব খুশি হলো ঠিক আছে তুমি তৈরি হয়ে নিচে এসো আমি খাবার রেডি করছি ।বলেই মেঘা নিচে চলে গেলো।

রায়ান সেদিকে তাকিয়ে কিছু ভাবলো তারপর আলমারির সামনে গিয়ে আলমারি টা খুলে একটা ছোট বক্স বের করলো বক্স টা খুলে তার মধ্যে থেকে একটা আংটি বের করলো আংটি টা তে সুন্দর করে ডিজাইন করা আর মাঝখানে আর অক্ষর লেখা ওই বক্স এ আরেকটা জিনিস আছে সেটা বের করলো এটা একটা লকেট লকেটের মধ্যে একটা মেয়ের ছবি নিচে লেখা চন্দ্রাবতী।

স্নেহা এখনো ভাবছে লাশের গলায় সি লেখা কেনো ছিলো ওটা কিসের ইঙ্গিত,,যে খুন করেছে সে কি এটা করেছে কোনো কারনে ? কিন্তু কেনো ই বা এমন চিহ্ন করবে? কি কারন হতে পারে।

রিনিতা অনেকক্ষন ধরে স্নেহা কে ডাকছে কিন্তু স্নেহা ভাবনাতে এতোটাই তলিয়ে আছে ওর কানে কিছুই ঢুকছে না।

আপুউউউউউউউ! স্নেহা হকচকিয়ে রিনিতার দিকে তাকিয়ে বললো কি হয়েছে এভাবে চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো আস্তে কথা বলতে পারিস না? রিনিতা মুখ টা কাচুমাচু করে বললো।

আস্তে করেই তো ডাকছিলাম তুমি ই তো কি নিয়ে ভাবনায় মগ্ন হয়ে আছো আমার কথা শুনছো ই না।

আচ্ছা বল কি হয়েছে এবার রিনিতা আহ্লাদি স্বরে বললো আপু চলো না আমরা একটু কোথাও ঘুরে আসি অনেক দিন হলো কোথাও ঘুরতে যায় না।চলো না আপু প্লিজ মানা করবে না। মুখ টা একদম বাচ্চাদের মতো করে কথা গুলো বললো।

স্নেহা ওর মুখ দেখে হেসে ফেললো তারপর বললো আমার পিচ্চি বোন টা এভাবে আবদার করলে আমি কি সেটা ফেলতে পারি বল তো।

রিনিতা খুশি হয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে স্নেহার গলা ধরে গালে চুমু দিয়ে বললো আমার সোনা আপু আমার লক্ষি আপু আমার থাক হয়েছে আর কিছু বলতে হবে না বিকাল বেলা যাবো রেডি হয়ে নিস! তারপর স্নেহা উঠে নিজের রুমে চলে গেলো।

এদিকে রিনিতা আনন্দে লুঙ্গি ডান্স দিবে এমন হাবভাব করছে ওর মনে হলো রনক আর লিমন কেও বলা দরকার তাহলে অনেক মজা হবে,,যেই ভাবা সেই কাজ চট জলদি দুজনকে ফোন করে জানিয়ে দিলো ওরা বিকালে ঘুরতে যাবে।

বিকাল বেলা স্নেহা আর রিনিতা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো রাস্তায় এসেই দেখলো রনক আর লিমন দাঁড়িয়ে আছে স্নেহা ওদের দেখে একটু অবাক হলো এই সময় ওরা এখানে কেনো  তারপর রিনিতার দিকে তাকিয়ে বুঝলো ওই ওদের কে আসতে বলেছে।

চার জন মিলে দুইটা রিক্সা নিয়ে একটা কফি শপে চলে গেলো ওখানে গিয়ে একটা টেবিলে বসে চার জন এর জন্য চারটা কফি অর্ডার দিলো সাথে হালকা পাতলা কিছু খাবার।

লিমন বললো স্নেহা তুমি তো একটা গ্ৰামের কথা বলছিলে তো কবে যাবে ঠিক করেছো? আমি ভাবছি কালকেই যাবো বেশি দেরি করে লাভ কি ?

তাড়াতাড়ি রহস্য উদঘাটন করতে পারলে তো আমাদেরই ভালো তাই না? রনক বললো তাহলে তো আগে বস কে বলতে হবে ছুটির জন্য। স্নেহা বললো তোমাদের ভাবতে হবে না আমি অলরেডি বস কে জানিয়ে ছুটি নিয়ে নিয়েছি এখন শুধু আমাদের ওখানে যাওয়ার অপেক্ষা।

বাহ তাহলে তো ভালোই হলো।

কিন্তু স্নেহা তুমি ওই জায়গার খোঁজ পেলে কোথায় আর রাস্তা চিনবে তো?

খোঁজ পেয়েছি কোনো ভাবে আর রাস্তা চিনবো না কেনো এখন কার যুগে কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়া কোনো কঠিন ব্যাপার হলো নাকি । আচ্ছা সব বুঝলাম ওই গ্ৰামের নাম টা কি?

চন্দ্রপুর! (কাল্পনিক) রনক বললো বাব্বাহ নাম টা বেশ সুন্দর ওখান কার মেয়েরা মনে হয় অনেক সুন্দরী হবে রিনিতা রনকের দিকে আড় চোখে তাকালো মনে মনে বললো কি শয়তান বেডা এদিকে আমার মনে যে সে বাস করে সেদিকে তার খেয়াল ই নেই সে আছে অন্য সুন্দরী মেয়েদের চিন্তায় আল্লাহ আমার কি হবে এই বজ্জাত বেডা কি কখনো বুঝবে আমাকে?

এর মধ্যেই ওদের খাবার চলে আসলো তারপর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে ওখান থেকে বেরিয়ে পড়লো। ওরা আরো কয়েক জায়গায় ঘুরা ঘুরি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো রনক আর লিমন ওদের কে রিক্সায় তুলে দিয়ে নিজেরা চলে গেলো ।

স্নেহা আর রিনিতা রিক্সায় বসে নিজেদের মতো গল্প করতে করতে যাচ্ছে হঠাৎ একটা গাড়ি এসে ওদের রিক্সায় ধাক্কা মেরে দিলো গাড়ি টা আগেই ব্রেক কশে নিয়েছিলো তাই বড় কোনো দূর্ঘটনায় ঘটেনি । তবুও স্নেহা আর রিনিতা রিক্সা থেকে নিচে পড়ে যায়।

গাড়ি থেকে দ্রুত তারা নেমে আসে সাথে সাথে ওখানে মানুষের ভীড় জমে গেছে গাড়ি থেকে যারা বেড়িয়ে এসেছে তারা হলো রায়ান আর মেঘা।

দুজন তাড়াতাড়ি করে স্নেহা আর রিনিতা কে ধরে তুলল তারপর ওদের বললো আপনাদের বেশি লাগে নি তো? আমরা ভীষণ দুঃখিত। না না ঠিক আছে আমাদের লাগেনি আপনারা ব্যস্ত হবেন না মানুষ মাত্রই ভুল হয় আমরা ঠিক আছি।

মেঘা দেখলো রিনিতার হাতে একটু ছিলে গেছে ও তাড়াতাড়ি গাড়ির থেকে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে এসে ক্ষতস্থান পরিস্কার করে ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিলো ।

তারপর ওরা দেখলো রিক্সায় একটু ক্ষতি হয়েছে রায়ান কিছু টাকা বের করে রিক্সা ওয়ালা কে দিয়ে বললো এটা দিয়ে গাড়ি ঠিক করে নিতে।

এরপর স্নেহা আর রিনিতা কে নিজেদের গাড়ি তে উঠতে বললো ওদের বাসায় পৌছে দেওয়ার জন্য স্নেহা প্রথমে রাজী হয়নি পরে মেঘার জোরাজুরি তে রাজী হলো তারপর গাড়িতে উঠে বসলো।

গাড়িতে করে যেতে যেতে ওরা পরিচিত হয়ে নিলো রায়ান হলো বিখ্যাত বিজনেস ম্যান অল্প সময়ে অনেক নাম কামিয়েছে ওর বাবা ও বিজনেস করতেন এখন দেশের বাইরে আছেন উনি বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরেই থাকেন দেশের সব কিছু রায়ান দেখাশোনা করে।

মেঘার বাবা ও রায়ান এর বাবা বিজনেস পার্টনার আর বন্ধু ও সেই সুবাদে মেঘা আর রায়ান ও ছোট বেলা থেকেই বন্ধু আর দুই বছর হলো ওদের বিয়ে হয়েছে।

কথা বলতে বলতে ওরা পৌঁছে গেলো মেঘাদের থেকে বিদায় নিয়ে ওরা ভিতরে চলে গেলো। রিনিতা বললো।

ওনারা কি ভালো আপু তাই না এতো বড় লোক মানুষ অথচ চলাফেরা একদম সাধারণ মানুষের মতো কোনো অহংকার নেই হুম হয়তো।

হয়তো বলছো কেনো আপু সত্যিই ওনারা খুব ভালো। এক দেখা তে মানুষ চেনা যায় না রিনিতা কার মনে কি আছে সেটা আমরা জানি না ভালো মানুষের মধ্যে ও খারাপ লুকিয়ে থাকে তাই উপর দেখে কিছু বিচার করা উচিত নয় যা ফ্রেশ হয়ে নে তারপর ঘুমিয়ে পড় কালকে গোছগাছ করে আবার বেরোতে হবে।

রিনিতা আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো তারপর বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে মনে মনে রনক এর কথা চিন্তা করছে কিভাবে জানাবে ওর মনের কথা রনক ও কি আমাকে পছন্দ করে ? যদি না করে তাহলে কি হবে এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো।

এদিকে স্নেহা বসে ভাবছে অন্য কিছু ওর মনে তো অনেক কিছুই চলছে কিন্তু সবাই সেটা জানে না কিছু কথা ভাবতে ভাবতে ও নিজেও শুয়ে পড়লো।

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওরা গোছগাছ করে নিলো তারপর স্নেহা নাস্তা বানাতে রান্না ঘরে চলে গেলো এদিকে রিনিতা বসে টিভি দেখছে।

দরজায় টোকা পড়তেই রিনিতা গিয়ে দরজা খুলে দিলো রনক আর লিমন চলে এসেছে ওদের ভিতরে ঢুকতে দিয়ে রিনিতা দরজা বন্ধ করে আবার টিভি দেখায় মন দিলো।

স্নেহা উকি দিয়ে দেখলো ওদের কে তারপর নাস্তা এনে টেবিলে রেখে ওদের কেও ডাকলো খাওয়ার জন্য।

লিমন বললো আমরা খেয়ে তারপর ই এসেছি তোমরা খেয়ে নাও তারপর বেরোতে হবে রাস্তাও তো অনেক বেশি যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে তো।

সমস্যা নেই সন্ধ্যা হলেই রহস্য বেড়ে যায় তখনই তো মজা তাই না তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে এখন এসো তোমরাও খাবে আমাদের সাথে।

স্নেহা যে না খেলে ওদের ছাড়বে না সেটা ওরা ভালো করেই জানে তাই আর কথা না বাড়িয়ে খেতে বসে গেলো তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া করে নিজেদের জিনিস পত্র ঠিক ঠাক করে গুছিয়ে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো।

বাসে উঠে ওরা নিজেদের সিট খুঁজে বসে পড়লো স্নেহা আর রিনিতা এক জায়গায় বসলো রনক আর লিমন ওদের পিছনের সিটে বসলো।বাস চলতে শুরু করলো স্নেহা জানালার পাশে বসেছে জানালাটা একটু খুলে দিলো সায় সায় করে বাতাস বইছে গাছ গুলো পিছনে ছুটে চলেছে এই দৃশ্য দেখে স্নেহার খুব ভালো লাগছে।

প্রায় সন্ধ্যা হবো হবো এমন সময় ওরা ওদের গন্তব্যে পৌঁছালো বাস থেকে নেমে ওরা হাঁটতে শুরু করলো। লিমন বললো এখন আমরা কোথায় যাবো আর সেই বাড়ি টা কোথায়?

আমরা সেদিকেই যাচ্ছি আগে একটা জঙ্গল পড়বে জঙ্গল পেরিয়ে গ্ৰাম ওই গ্ৰাম থেকে কিছু টা দূরে ওই বাড়ি টা আর ওই গ্ৰামের নাম ই চন্দ্রপুর।

ওরা হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গলের কাছে চলে আসলো তখনই ওখানে একটা বৃদ্ধ লোক এসে ওদের সামনে দাঁড়িয়ে বললো এদিকে কোথায় যাচ্ছো তোমরা ?

স্নেহা বললো আমরা চন্দ্রপুর গ্ৰামে যাবো এটাই তো রাস্তা তাই না? লোকটি অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বললো ওই গ্ৰামে তোমাদের কি দরকার? ওখানে যেও না ওখানে এখন কেউ থাকে না গ্ৰাম এখন আর গ্ৰাম নেই শ্বশান হয়ে গেছে।

কি বলছেন ওখানে তো মানুষ আছে আমি খোঁজ নিয়েছি আর এমন গরমের মধ্যেও আপনি এই মোটা শাল জড়িয়ে আছেন কেনো ?

আমার গরম লাগে না তোমরা ওই গ্ৰামে যেও না ওখানে কেউ নেই তোমরা গেলে বেঁচে ফিরতে পারবে না ও সবাই কে মেরে ফেলবে কাউকে ছাড়বে না।

কার কথা বলছেন আপনি আরে স্নেহা বাদ দাও তো কোনো পাগল হবে হয়তো চলো আমরা আমাদের কাজে যায়।

আমার কথা শুনলি না তো তোরা যখন বিপদে পড়বি তখন বুঝতে পারবি যা ভিতরে যা সবাই মারা পরবি।

ওরা সেদিকে আর পাত্তা দিলো না নিজেদের মতো যেতে শুরু করলো। ধূর শুরুতেই বাধা পড়লো জানি না ওখানে গিয়ে কি হয় কি অদ্ভুত লোক এতো গরমে চাদর গায়ে দিয়ে আছে।

ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সেই লোকটা অদ্ভুত ভাবে হেসে বললো মৃত্যু যখন ডাকে তখন সবাই এভাবেই ছুটে আসে তারপর লোকটা হাসতে হাসতে ধোঁয়ার মতো মিলিয়ে গেলো

 

লেখিকাঃ চাঁদনী

 

{ আরো পড়ুন – অভিশপ্ত দোলনা

( চন্দ্রাবতী গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন । ধন্যবাদ।)